১৬,১৭, ওর মাঝে পরেও আর পি এফ এবং গেট ম্যানের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলো রেল যাত্রী। চলন্ত ট্রেন থেকে নদীতে পড়ে গিয়েও আরপিএফ ও গেটম্যানের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গেলেন এক যাত্রী। মঙ্গলবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। আহত ওই যাত্রীর নাম সাকিব মহম্মদ, তাঁর বাড়ি হরিয়ানায় বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ওই ব্যক্তি গৌহাটি বার্মার এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন। শৌচাগারে যাওয়ার সময় হঠাৎই তার সঙ্গে থাকা ব্যাগটি ট্রেনের কামরা থেকে পড়ে যাচ্ছিল। সেই ব্যাগ বাগে আনতে গিয়ে আচমকাই নিচে পড়ে যান তিনি। ট্রেনের কামরায় থাকা এক আরপিএফ জওয়ানের নজরে আসতেই বিষয়টি তিনি গেট ম্যানকে চিৎকার করে বলেন। ওই সময় জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন সংলগ্ন ১৭ নম্বর গেট ম্যানের ডিউটিতে ছিলেন তিলক দাস নামে এক রেলকর্মী।
আরও পড়ুন – তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় জারি লাল সংকেত
‘এক আদমি নিচে পানি মে গির গেয়া’ চলন্ত ট্রেন থেকে আরপিএফ জওয়ানের আওয়াজ কানে আসতেই গেটম্যান তিলক দাস সঙ্গে সঙ্গে পাশের ১৬ নম্বর গেটম্যানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে ফোন করে বিষয়টি জানান। সেই গেটম্যান ছুটে গিয়ে দেখতে পান এক ব্যক্তি ছোট একটি নদীর জলে পড়ে রয়েছে। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের স্টেশন মাস্টারকে। স্টেশন মাস্টারের নির্দেশ পেয়ে আরপিএফ কর্মীরা ছুটে এসে গেটম্যান এবং স্থানীয়দের চেষ্টায় ঐ ট্রেন যাত্রীকে জল থেকে উদ্ধার করেন।তাকে সঙ্গে সঙ্গে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আহত ট্রেন যাত্রীর কোমরে গুরুতর আঘাত রয়েছে। ঠিকমত কথাও বলতে পারছেন না তিনি। শুধু নাম পরিচয় ঠিকানা বলতে পেরেছেন রেল পুলিশকে। আহত ওই যাত্রী জানান, শৌচাগারে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগটি চলন্ত ট্রেন থেকে হঠাৎই পড়ে যাচ্ছিল। সেই ব্যাগটি ধরতে গিয়ে তিনিও ট্রেন থেকে পড়ে যান। তবে শেষ পর্যন্ত রেল পুলিশের তৎপরতায় ব্যাগ সহ ঐ যাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মূলত আরপিএফ জওয়ান ও গেটম্যানের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই যাত্রী। আর পি এফ