আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত ভাগের প্রস্তাব গেল পঞ্চায়েত দপ্তরে ,খুশির হাওয়া এলাকায়। গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে ৮টি বুথের দূরত্ব প্রায় ২৩ কিলোমিটার।সরকারি পরিষেবা মিলতে সমস্যায় পড়তেন সাধারণ মানুষজন।আর সেই সমস্যা নিরসনে উদ্যোগী হল গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর। তাই এবার আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত ভাগের প্রস্তাব গেল পঞ্চায়েত দপ্তরে।খুশির হাওয়া এলাকা জুড়ে।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।এই খবর চাউর হতেই বিশেষ করে ময়না গ্রাম জুড়ে খুশির আবহ তৈরি হয়েছে।জেলা ,ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত ভেঙে ময়না পঞ্চায়েত গঠনের দাবি দীর্ঘ বহু বছরের।সেজন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত কার্যালয়ে প্রধান ,উপপ্রধান সহ নানা সদস্যদের নিয়ে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়।সেখানে গ্রামের বাসিন্দাদের প্রকৃত সমস্যার কথা অনুভব করে সভার অনুমতি নিয়ে পঞ্চায়েত ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন – আর্সেনিকমুক্ত জল তৈরিতে ‘পেটেন্ট’ পেলেন রায়গঞ্জের অধ্যাপক স্পন্দন ঘোষ
এরপর এই সংক্রান্ত বিষয়ে পঞ্চায়েত থেকে স্থানীয় ব্লক প্রশাসনে আবেদন করা হয়।শুধু তাই নয়,সেই আবেদন মূলক পত্রে নতুন পঞ্চায়েত ভাগের নাম ময়না রাখারও প্রস্তাব দেওয়া হয়।এরপর ব্লক প্রশাসন পঞ্চায়েতের আবেদন জেলা পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়।সেখান থেকে জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকেরা সরকারি উচ্চ দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়।মালদহের পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক বিল্লদল রায় বলেন,আলাল পঞ্চায়েত ভাগের বিষয়টি উচ্চ দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য,আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত ২৩টি বুথ নিয়ে গঠিত। আলাল সদরের এক প্রান্তে রয়েছে ১৫টি বুথ।আর ২৩কিমি দূরত্বে ময়নাতে রয়েছে ৮টি বুথ।তবে পঞ্চায়েত ভবন রয়েছে আলালের একবারেই সদর এলাকায়।তাই ময়নার মানুষের পঞ্চায়েত ভবনে আসতে খুব সমস্যা হয়।পঞ্চায়েত অফিসে আসতে তাঁদের করকচ,গাজোল ১,গাজোল ২,বৈরগাছি ২ সহ চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত পার করে আসতে হয়।।দীর্ঘ পথের ভোগান্তি। তাই গ্রামবাসীরা চাইছেন এই সমস্যা সমাধান হোক।ময়না নতুন গ্রাম পঞ্চায়েত হোক।