কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর আশায় বুক বাঁধছেন ইয়াসি‌ন পাঠান

কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর আশায় বুক বাঁধছেন ইয়াসি‌ন পাঠান

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর আশায় বুক বাঁধছেন ইয়াসি‌ন পাঠান।সেই কত বছর আগের কথা। বিধ্বস্ত, জরাজীর্ণ সব মন্দির। চারদিকে গাছ গজিয়েছে। ভেঙে পড়ছে। আড্ডা বেঁধেছে বিষধর সাপের দল। আবার কোনওটা তলিয়ে গিয়েছে পাশ দিয়ে বয়ে চলা কাঁসাই নদীর গর্ভে। কিন্তু প্রাচীন এই সব মন্দির এভাবেই নষ্ট হয়ে যাবে! পুরনো ঐতিহ্যকে কী বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়। কিশোর বয়স থেকেই প্রশ্নটা মনে জেগেছিল। আর সেই প্রশ্ন থেকে ইচ্ছাশক্তির জন্ম। তারপর এক পা এক পা করে এগিয়ে চলা।

 

চলার পথে বারবার ধাক্কা। শুধু কী অর্থনৈতিক ধাক্কা? না, সামাজিক ধাক্কাও। কারণ, মন্দির হিন্দুদের। আর যিনি রক্ষা করার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি মুসলিম যুবক। তাঁর নাম ইয়াসিন পাঠান। মন্দিরময় পাথরার নামের সঙ্গে এই নামটি ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। সে পুরনো ইতিহাস, লড়াইয়ের কাহিনীও এখন আর কারও অজানা নয়। ধীরে ধীরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া মন্দির ও জমি অধিগ্রহণ করে। শুরু হয় সংস্কার কাজ। কত কিছুই না করার পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু তার অনেক কিছুই আজও হয়নি। এখন বৃদ্ধ হয়েছেন ইয়াসিন পাঠান। অসুস্থতার কারণে শরীরও আর আগের মতো দেয় না।

 

তাই মাঝে মাঝেই আক্ষেপ করেন, যে ঝকঝকে মন্দিরময় পাথরার রূপ তিনি দেখতে চেয়েছিলেন, তা কী আর তাঁর জীবদ্দশায় হবে না? অনেক সময় হতাশা গ্রাস করে। আবার হতাশা ছেড়ে আশার আলো দেখছেন।সোমবার মেদিনীপুরে দলীয় কাজে যোগ দিতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। পাথরা সম্পর্কে আগেই জেনেছিলেন তিন‌ি। তাই এবার ইয়াসিন পাঠানের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। সংগঠনের নেতা শুভজিৎ রায়কে সে কথা জানানোর পর শুভজিৎববু ইয়াসিন পাঠানকে সে কথা জানান।

আরও পড়ুন – সিমেন্ট ও তুষের বস্তার নিচে অবৈধ সেগুন কাঠ পাচারের চেষ্টা,গ্রেপ্তার ৫

ইয়াসিন পাঠান সোজা হাজির হন মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে। মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। মন্ত্রীকে উপহার দেন তাঁর লেখা “পাথরা” নামক বই। ইয়াসিন পাঠান বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ডেকেছিলেন। কথা হয়েছে। পাথরার জমি সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়টি আমি জানিয়ছি। উনি পরামর্শ দিয়েছেন পুরো বিষয়টি জানিয়ে অর্থ দফতরে চিঠি দিতে। মন্ত্রীর পরামর্শ মতো আমি সেটাই করবো। কারণ, অনেক ঘুরেছি, কিন্তু জমিদাতারা এখনও জমির টাকা পায়নি। যা নিয়ে এলাকার মানুষের কাছে আমাকে কথা শুনতে হচ্ছে। জমিদাতাদের উপযুক্ত টাকা পাইয়ে দিতে পারলে একটা বড় অসমাপ্ত কাজ শেষ হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top