আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবী উত্তরবঙ্গের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। উদাহারন বিগত পুরসভা নির্বাচনের ফলাফল। বিগত পুরসভার নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর এবার পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে চরম বিপর্যয়ের পর উলটপুরান দুই পুরসভা নির্বাচনে।

 

পুরসভা নির্বাচন থেকে এক্সট্রা অক্সিজেন নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া জেলা তৃনমূল। আর তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কর্মিদের চাঙ্গা করতে কোমড় বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে জেলা তৃনমূল নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটে হাইয়েষ্ট লিড পেলেই পুরস্কৃত করা হবে জেলার এক নম্বর বুথকে। সেই সাথে পুরস্কৃত করা হবে টপ লিড পাওয়া গ্রামপঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, এবং জেলা পরিষদের আসনকেও। আপাতত এটাই সিদ্ধান্ত আলিপুরদুয়ার জেলা তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের।

আরও পড়ুন- পেনশন না পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন পেনশন প্রাপকরা

ইতিমধ্যেই জেলা স্তর থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত দলীয় সংগঠনকে খোলনলচে পালটে ফেলার পদ্ধতি শুরু করে দিয়েছে শাসক দলের নেতারা। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম শিবিরের কাছে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে পরাজিত হয় রাজ্য শাসক দলের প্রার্থী দশরথ তির্কি।পরবর্তীতে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলার পাঁচটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতেই পরাজিত হয় তৃনমুল কংগ্রেস।

 

শুধু তাই নয় বিগত লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার সহ সমস্ত জেলাতেই তৃনমুল কংগ্রেস চরমভাবে পরাজিত হয় গেরুয়া শিবিরের কাছে। এরপরেই গেরুয়া শিবিরের নেতারা উত্তরবঙ্গের সাত জেলা নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের ডাক দেয়। যদিও রাম শিবিরের সেই রাজনৈতিক উসকানিতে সারা দেয়নি উত্তরবঙ্গের তামাম জনতা।উত্তরবঙ্গের মানুষ বিজেপির সেই রাজনৈতিক প্ররোচনার জবাব দিয়েছে বিগত পুরসভার নির্বাচনে।

 

সে কারণেই সর্বশেষ পুরসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলের কাছে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে যায় রাম শিবিরের ভোট ম্যানেজাররা। আর এতেই ফের বাড়তি অক্সিজেন নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলছে তৃনমুল নেতৃত্ব। আলিপুরদুয়ার জেলা তৃনমূলের সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক জানিয়েছেন, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ব্লক এবং গ্রামপঞ্চায়েত অনুযায়ী কোন এক নেতার উপর নির্ভর করবো না।

 

জেলার ৬৪টি গ্রামপঞ্চায়েত অনুযায়ী প্রতি গ্রামপঞ্চায়েতে একজন করে চেয়ারম্যান এবং একজন করে সভাপতি করা হবে।বুথ স্তরেও তাই। পাশাপাশি প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, রাজ্যের মানুষ রাজ্যের বিভাজন চায়না, আর তার রাজনৈতিক জবাব রাম ভক্তরা পুরসভার নির্বাচনে ভালো মতো টের পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি জানান, রাজ্যের সমস্ত পুরসভায় ফ্রী এন্ড ফেয়ার ভোট হয়েছে। তাই বিজেপির নেতৃত্বের রাজনৈতিক ফাঁদে জনতা জনার্দন আর পা দেয়নি বলে মন্তব্য তার।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top