আসানসোলের নবনির্বাচিত সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে অন্য ধরনের গুরুদায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় রাজনীতিতে নেমেই আসানসোল জয় করেছেন তিনি। আর সেই বলিউড কাঁপানো আসানসোলের নবনির্বাচিত সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার কাঁধে রাজনীতি সামলানো ছাড়াও একটি গুরুদায়িত্ব অর্পন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ যেন বলিউডের নামজাদা সিনেমা নির্মাতারা বাংলা সিনেমাতেও বিনিয়োগ করে, সে বিষয়ে যেন কথা বলেন আসানসোলের সাংসদ।প্রসঙ্গত, নজরুল মঞ্চে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে আসানসোলের সাংসদের উদ্দেশে এই বার্তা ছিল মুখ্যমন্ত্রী৷এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে,করোনার জন্য ২৭ তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব পিছিয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু,সোমবার এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন আসানসোলের সাংসদ এবং অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা৷মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে বলেন,তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলা সিনেমার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে।হিন্দি এবং অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলা সিনেমাকেও যাতে সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখানো হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার আইন এনেছে বলেও জানান তিনি৷ তারপর কিছু টা আক্ষেপ নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলা সিনেমাই শ্রেষ্ঠ৷ কিন্তু সেভাবে তার ব্র্যান্ডিং করা যায়নি৷ আমরা বলিউডের সিনেমাকে সম্মান করি৷ বলিউডে অনেক টাকা, কিন্তু বাংলায় তা নেই৷’
আর ও পড়ুন সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে দাদার হাতে খুন ভাই
আর এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহা কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি শত্রুঘ্নজিকে অনুরোধ করব আপনি বলিউডের সিনেমা নির্মাতাদের সঙ্গে কথা বলুন৷ যাতে তারা এখানে বিনিয়োগ করে৷ আমাদের এখানে মেধার কোনও অভাব নেই৷’ এর পাশাপাশি, আগামী বছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে সিনেমা শিল্পের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদেরও ডাকা হবে বলেন জানান তিনি।দিদির এই অনুরোধের জবাবে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘তাঁদের সেবা করতে সুযোগ দেওয়ার জন্য আসানসোলের মানুষকে ধন্যবাদ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য সুযোগ করে দিয়েছিলেন৷ আমি বরাবর মানিকদার (সত্যজিৎ রায়) ভক্ত ছিলাম৷ মৃণাল সেন আমাকে বেছেছিলেন৷ প্রসেনজিৎও খুব ভালো কাজ করছে৷ আমি আপনাদের ছিলাম, আছি, থাকবো৷’