আসানসোলে যাবার পথে শক্তিগড়ে টিফিন সারলেন অনুব্রতঃ শ্লোগান উঠল ‘জয়বাংলা’ . গরু পাচার কান্ডে প্রথমে ১০ দিন , পরে ৪ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষে বুধবার বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোলের সিবিআই আদালতে। নিজাম প্যালেস থেকে ২নং জাতীয় সড়ক ধরে আসানসোলে যাবার পথে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে একটি ধাবাতে প্রাতঃরাশ সারেন অনুব্রত সহ সিবিআই আধিকারিকরা। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ধাবাতে দাঁড়াতেই প্রচুর সাধারণ মানুষ ভিড় করেন অনুব্রতকে দেখার জন্য । তাদের মধ্যে থেকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা অনুব্রতকে দেখেই শ্লোগান দেন ‘জয় বাংলা’। কেউ কেউ অতি উৎসাহী আবার ‘খেলা হবে’ শ্লোগান দিয়ে অনুব্রতের পাশে থাকার বার্তা দেন।
আরও পড়ুন – গণেশ চতুর্থীতে চাঁদের দিকে তাকাতে নেই কেন? জানুন এর পৌরাণিক কাহিনি
অনুব্রতের পাশে থাকার বার্তা আগেই দিউএছিলেন তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এদিন শক্তিগড়ে সমর্থকদের এই শ্লোগানে কিছুটা উচ্ছ্বসিতই দেখায় অনুব্রতকে। মানসিকভাবে তাকে বল দেয়। সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের উত্তরও এদিন দেন তিনি। প্রায় আধঘন্টা ধরে তারা ছিলেন ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের ওই ধাবাটিতে। প্রথমে ডালপুরি ও পরে লিকার চা দিয়ে প্রাতঃরাশ সারেন অনুব্রত মন্ডল। সুগারের সমস্যা থাকার কারনে ল্যাংচা বা মিষ্টি কিছুই তিনি খাননি বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে নামানো হয় অনুব্রত মন্ডলকে । প্রাতঃরাশ করেই তারা রওনা দেন আসানসোলের উদ্দেশ্যে। কোনরকম অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা আদালত চত্ত্বর । এদিন সিবিআই তাকে নিজেদের হেফাজতে না নিলেও প্রভাবশালী তত্ত্বে আদালত থেকে জামিন পাননি অনুব্রত। তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার ফের শুনানী হবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর।