উত্তপ্ত ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড । তৃণমূলের দুই পক্ষের গোলমালের জেরে চরম উত্তেজনা ছড়ালো মালদার ২২ ওয়ার্ডের মহানন্দাপল্লী এলাকায়। অন্যায় ভাবে পুলিশ তৃণমূল প্রার্থী বাবলা সরকারের অফিস থেকে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ।আর এর প্রতিবাদ জানিয়ে মহানন্দাপল্লী এলাকার মালদা-রতুয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে শতাধিক মহিলা তৃনমূল কর্মীরা। উল্লেখ্য,এই এলাকায় গোলমালে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি।
এরপরই মহানন্দাপল্লী এলাকায় সদ্যনির্বাচিত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকারের দলীয় কার্যালয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে দলের পাঁচজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বলে অভিযোগ । ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর বাবলা সরকারের অভিযোগ, প্রাক্তন কাউন্সিলরের নেতৃত্বে তার দলবল স্থানীয় ক্লাবে হামলা চালায়।এরপর অভিযোগ করা হলে তাদের গ্রেফতার না করে, পাল্টা আমার এলাকার পাঁচ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। আর এই ঘটনার এলাকার তৃণমূল কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। ঘটনার সূত্রপাত,পুর নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বাবলা সরকারের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল হয় ।
আর ও পড়ুন নবদম্পতিকে কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
এরপর সেই বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারির দলের সঙ্গে গোলমাল বাধেঁ বলে অভিযোগ। সেখানে দুই পক্ষের কমবেশি কয়েকজন আহত হয়। পরে উভয় পক্ষের তরফ থেকে ইংরেজবাজার থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ উভয়পক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক ভাবে তদন্ত করছে না বলে অভিযোগ। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকার বলেন , প্রাক্তন কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং তার ভাই দ্বিজেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এলাকার একটি ক্লাবে এসে তাণ্ডব চালায়। তখন দলের কয়েকজন তৃণমূল কর্মী প্রতিবাদ করে। তাতে গোলমাল বাধেঁ।
কিন্তু যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন সেই সব তৃণমূল কর্মীরা পুলিশের অভিযোগ জানালেও পুলিশ প্রয়োজনে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। পাল্টা আমার দলীয় কার্যালয় থেকে পাঁচজনকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। এব্যাপারে পাল্টা সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে প্রাক্তন কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি। তিনি বলেন, আমার ওপর হামলা হয়েছে। বাবলা সরকারের নেতৃত্বে আমাকে মারধর করা হয়েছে। সে ব্যাপারে আমি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। এখন যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ইংরেজবাজার থানার আইসি আশিস দাস জানিয়েছেন,ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।