খেলা – এজবাস্টন টেস্টে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শুভমন গিল লিখে ফেললেন এক অনন্য ইতিহাস। ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম দ্বিশতরান গড়লেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত গিল ব্যাট করছিলেন ২০৫ রানে অপরাজিত। যখন একের পর এক উইকেট পড়ছে, তখন গিল একপ্রকার একা কুম্ভের মতো রক্ষা করে চলেছেন ভারতীয় ইনিংস।
প্রথম দিন শেষে গিলের রান ছিল ১১৪ এবং তাঁর সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা (৪১)। ভারতের সংগ্রহ ছিল পাঁচ উইকেটে ৩১০ রান। দ্বিতীয় দিনেও গিলের ব্যাটিং দাপট বজায় থাকে। দিনের প্রথম সেশনে গিল পৌঁছে যান ১৬৮ রানে এবং লাঞ্চের আগে ভারতের রান দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৪১৯।
জাদেজা দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৮৯ রানে আউট হন—টংয়ের একটি বাউন্সার সামলাতে গিয়ে উইকেট ছুঁয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তবে তার আগে অধিনায়কের সঙ্গে ২০৩ রানের এক মূল্যবান পার্টনারশিপ গড়ে দিয়ে যান তিনি। জাদেজার ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ১টি ছক্কা।
লাঞ্চের পর গিল আরও আক্রমণাত্মক ও পরিণত ব্যাটিংয়ে পৌঁছে যান তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিতে। এই ইনিংসে গিল দেখিয়েছেন অনবদ্য নিয়ন্ত্রণ ও সংযম, যা খোদ প্রাক্তন ক্রিকেটারদেরও মুগ্ধ করেছে।
সাবেক ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী মন্তব্য করেছেন, “গিল নিজের ডিফেন্স নিয়ে দারুণ কাজ করেছে। আগে ও শক্ত হাতে বল খেলত, এখন বলকে ব্যাটে আসতে দেয়, যা ওর উন্নতির স্পষ্ট প্রমাণ।”
শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডের বোলাররা গিলকে ফেরাতে কার্যত বিশেষ পরিকল্পনা করেই নেমেছিলেন। গত ১৬ বছরে কোনও ব্যাটারের বিরুদ্ধে এত বেশি ফুল-লেংথ বল করেনি ইংল্যান্ড, কিন্তু এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদেও তাঁকে ফেলা যায়নি। বরং দৃঢ় ধৈর্য ও টেম্পারমেন্টে বুঝিয়ে দিলেন—গিল এই মুহূর্তে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন।
হেডিংলি টেস্টে শতরান করার পর এজবাস্টনে দ্বিশতরান। সন্দিহান সমালোচকদের চুপ করিয়ে গিল প্রমাণ করে দিলেন—ভারতীয় দলের নেতৃত্ব এখন সঠিক হাতে।
