কেন্দ্রকে বিঁধে ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের রাজ্যে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। গত মার্চেই ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের সঙ্গে সরাসরি কথা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেছিলেন, এ রাজ্যে যাতে পড়ুয়াদের পড়ার ব্যবস্থা করা যায়, সে চেষ্টা করতে কেন্দ্রে সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। কিন্তু সময় পার হয়ে গেলেও কেন্দ্র সেই পড়ুয়াদের পড়াশোনা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা করার কথা বলেনি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের ওপর তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেন থেকে যখন আমাদের ছেলেমেয়েরা ফেরত আসে, তখন ৪২২ জন ফেরত এসেছিল।
তাদের নিয়ে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে আলোচনা করেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম, কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দিক, তা হলে আমরা ওদের সবার পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দিতে পারব। কারণ, তাঁরা কেরিয়ারকে বিসর্জন দিয়ে ফিরে এসেছে। তার পর আমরা দুমাস অপেক্ষা করলাম, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করবে না বলে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, ওরা পোল্যান্ডে যাক, হাঙ্গেরিতে যাক, কিন্তু এক বার যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা কী ভাবে যাবেন। তাই আমরা কয়েকটি বুদ্ধি বার করেছি।”
আরও পড়ুন – ২রা মে থেকে স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, “আমরা ৪২২ জনকে ফেরত নিয়ে এসেছিলাম। এদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক পড়াশোনায় যুক্ত ছিলেন ৪১২ জন, এর মধ্যে ৪০৯ এমবিবিএস, ৩ জন ডেন্টাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ছিল ৬ জন, পশু চিকিৎসায় ছিল ১ জন, শ্রমিক ছিল ৩ জন। ইঞ্জিনিয়ারিং ৬ জনকে প্রাইভেট কলেজ এ ব্যাবস্থা করেছি। ২ জন জয়েন করেছে। ডেন্টালের ১ জনকে ইন্টার্নশিপ করতে হবে কলকাতার সরকারি ডেন্টাল কলেজে। বাকি দুজন দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া সরকারি কলেজে ক্লাস করতে পারবে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রকে বিঁধে ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের রাজ্যে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। গত মার্চেই ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের সঙ্গে সরাসরি কথা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেছিলেন, এ রাজ্যে যাতে পড়ুয়াদের পড়ার ব্যবস্থা করা যায়, সে চেষ্টা করতে কেন্দ্রে সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। কিন্তু সময় পার হয়ে গেলেও কেন্দ্র সেই পড়ুয়াদের পড়াশোনা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা করার কথা বলেনি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের ওপর তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেন থেকে যখন আমাদের ছেলেমেয়েরা ফেরত আসে, তখন ৪২২ জন ফেরত এসেছিল।