লকডাউনের পথে এখনই হাঁটতে রাজি নয় রাজ্য সরকার, ইঙ্গিত দিলেন মমতা । ওমিক্রন বাড়লেও এখনই সব কিছু বন্ধ করে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই রাজ্য সরকারের। বৃহস্পতিবার সাগর থেকে কলকাতা ফেরার পথে মমতা বলেন, ‘সারা বাংলায় সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা এখনই রাজ্য সরকারের নেই।’ মমতা বলেছেন, ‘কোভিডের জেরে দু’বছরে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আবার নতুন করে সব কিছু বন্ধের পথে যাওয়া সাধারণ মানুষের উপর চাপ তৈরি করবে। আমরা আর তা চাই না। পর্যালোচনা করে দেখা হবে, যদি কোথাও বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়, তাহলে পকেটে পকেটে করা যেতে পারে। রিভিউ করে গোটা পরিস্থিতি টাইম টু টাইম আমরা জানাব।’ কেন পর্যালোচনা প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘কোভিড তো প্রায় ছ’মাস–আট মাস ছিল না।
তাই অনেক জায়গায় কোভিড হাসপাতালগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাই সার্বিকভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।’ লোকাল ট্রেন এবং স্কুল–কলেজ বন্ধ নিয়ে সরকার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা।
আর ও পড়ুন লঞ্চ থেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা পেলেন পর্যটকেরা
কোভিডের অন্য রূপগুলির তুলনায় ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রিটেন থেকে বিমানে যাঁরা আসছেন, তাঁদের বেশি ওমিক্রন ধরা পড়েছে। এই ব্যাপারে নজর রাখা উচিত অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের। আবার অনেকে টেস্ট করাতে বিরক্ত হচ্ছেন। কিন্তু বিরক্ত হলে চলবে কী করে।’
সামনেই বর্ষবিদায় এবং বর্ষবরণের উৎসব। সেই সময় বহু মানুষ রাস্তায় নামবেন। ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্ষবরণের উৎসব আটকাব কী করে! তবে আমরা বর্ষবরণের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।’ এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সকলকে কোভিড বিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি।’ গঙ্গাসাগর মেলা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গঙ্গাসাগরে মানুষের মেলা, তাই আটকাতে পারব না।
উল্লেখ্য,লকডাউনের পথে এখনই হাঁটতে রাজি নয় রাজ্য সরকার, ইঙ্গিত দিলেন মমতা । ওমিক্রন বাড়লেও এখনই সব কিছু বন্ধ করে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই রাজ্য সরকারের। বৃহস্পতিবার সাগর থেকে কলকাতা ফেরার পথে মমতা বলেন, ‘সারা বাংলায় সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা এখনই রাজ্য সরকারের নেই।’ মমতা বলেছেন, ‘কোভিডের জেরে দু’বছরে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।আবার নতুন করে সব কিছু বন্ধের পথে যাওয়া সাধারণ মানুষের উপর চাপ তৈরি করবে। আমরা আর তা চাই না। পর্যালোচনা করে দেখা হবে, যদি কোথাও বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়, তাহলে পকেটে পকেটে করা যেতে পারে। রিভিউ করে গোটা পরিস্থিতি টাইম টু টাইম আমরা জানাব।’ কেন পর্যালোচনা প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘কোভিড তো প্রায় ছ’মাস–আট মাস ছিল না।