নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, ২২ নভেম্বর, ইছামতি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে জলে তলিয়ে যায় মৎসজীবী, কোনরকমে সাঁতরে বাড়ি ফেরে ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট থানা সংগ্রামপুর ইছামতি নদীতে। বুধবার দিন সংগ্রামপুর পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা বছর ৩২ এর আসলাম গাজী আর তার নাবালক ছেলে বছর ১৩ ইরফান গাজী কে সঙ্গে নিয়ে নৌকায় জাল তুলে ইচ্ছামতী নদীতে মাছ ধরতে যায়। গোটা পরিবার পেশায় মৎস্যজীবী। প্রতিদিনকার মত বুধবার নদীতে মাছ ধরতে যায় বাবা ও ছেলে জীবিকার টানে। সারাদিন কেটে গেলেও ঘরে বাবা ছেলে কেউ ফেরে না। সন্ধ্যেবেলায় কোনরকমে ইছামতি নদী সাঁতরে বছর ১৩ বছরের ইরফান কোনরকম প্রাণে বেঁচে বাড়ি ফিরল। তবে বাবা আসলাম গাজী ফিরিনি।
ছেলে জানায়, ইছামতি নদীর জলের স্ফিতি বেড়ে যাওয়ায় নৌকা থেকে পড়ে যায় মৎস্যজীবী আসলাম। নৌকা উল্টে গেলেও কোনরকমে প্রাণে নদী সাঁতরে বাড়ি ফেরে ইরফান। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরে ইছামতি নদীতে তল্লাশি চলে। তবে এখনও কোন মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি।এমনকি সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নামানোও হয়। ইতিমধ্যে শোকের ছায়া নেমে পড়েছে গাজী পরিবারে।সব মিলিয়ে এই মর্মান্তিক ইছামতি নদীর ঘটনায় সিউড়ে উঠেছে সংগ্রামপুর এর পশ্চিম পাড়ার মানুষ। গোটা গ্রামটাই মৎস্যজীবীদের বস বাসট।তাই সব মিলিয়ে স্বজন হারানোর বেদনা আর কান্না গোটা গ্রামকে শোকাচ্ছন্ন করে তুলেছে। একদিকে যেমন সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে ছেলে ইরফান। অন্যদিকে স্ত্রী হারিয়েছে স্বামীকে ও ছেলে হারিয়েছে বাবা কে। এখনও তার খোঁজ এ তল্লাশি চালাচ্ছ প্রশাসন। ইতিমধ্যে বসিরহাট থানায় পরিবার থেকে একটা নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়েছে। কিন্তু পরিবারের ধারনা তিনি বেঁচে আছেন। শুধু সময়ের অপেক্ষায় ইছামতি নদীর দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা পরিবার থেকে শুরু করে গ্রামবাসী। সাথে নদীতে তল্লাশি জারি রেখেছে প্রশাসন।