ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার না হলেও জীবনে বহু কিছু করা যায়-রাজ্য জয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী মেধাবি ছাত্র হিমাংশুর ষ্পষ্ট মত। কোভিডে অনলাইনে পড়াশুনোর ধারাবাহিকতা বজিয়ে রেখেই জয়েন্টে দ্বিতীয় স্থান অধিকার শিলিগুড়ির হিমাংশুর। অনলাইনে পড়াশুনো করলেও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ছিল কয়েকযোজন দূরত্ব।
যা রাজ্য জয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানাধিকারি হিমাংশু শেখরের সাফল্যের নেপথ্যের চাবিকাঠি।মেধাবী ছাত্র হিমাংশুর লক্ষ্য আইটি কম্পিউটার বিজ্ঞান।
যা নিয়ে পড়াশুনো করে পরবর্তী গবেষণামূলক পথে এগোতে চায় সে।
শিলিগুড়ি ভানুনগর এলাকার বাসিন্দা হিমাংশু ওই এলাকার সিবিএসসি বোর্ডের আওতায় থাকা নির্মাণজ্যোতি বিদ্যালয়ের ছাত্র। সিবিএসসির মেধাবী এই ছাত্র ফের সর্বভারতীয় জয়েন্টে অংশ নেবে যার প্রস্তুতি চলছে। হিমাংশুর বাবা শেখর কুমার আয়কর দপ্তরের কর্মী। মা গৃহবধূ স্বপ্না কুমারী। হিমাংশু জানায় জয়েন্টের জন্য কোচিং ও স্কুলের পড়াশুনোর বাইরে আর কোথায় কোনো বাড়তি প্রশিক্ষণ নেয়নি সে। ফলাফলের নিরীখে তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে তার নাম সে বিষয়ে মেধাবী ছাত্র বলছে-পরিক্ষা ভালো হয়েছিল।
আরও পড়ুন – নতুন রূপে সেজে উঠবে বকখালি. আগামী দিনে বকখালি পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা
প্রত্যাশা করেছিলাম ভালো র্যাঙ্ক হবে। তবে রাজ্যে দ্বিতীয় হবো এটা ভাবিনি। কারন মেধা তালিকায় বিষয়টি সম্পূর্ণ অন্য পরিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের ওপর নির্ভর করে। আগামীতে সর্ব ভারতীয় জেইই তথা জয়েন্টে অংশ নিয়ে কেরিয়ারের পরিবর্তি সিদ্ধান্ত নেবে সে। যদিও সে জানিয়েছে সর্ব ভারতীয় জয়েন্টে ভালো র্যাঙ্ক এলেও রাজ্যের খড়গপুর আইআইটি ও যাদবপুর তার প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে। সেখানেই কম্পিউটার বিজ্ঞানে আইটি করার ইচ্ছে তার। তার বাবা শেখর কুমার জানান ছেলে বরাবরই পড়াশুনোয় ভালো। ছোটবেলায় ডনবস্ক স্কুলে পড়াশুনো। একাদশ শ্রেণীতে সিবিএসসি বোর্ডের আওতায় এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।
ছেলে পড়াশুনোর পাশাপাশি ভালোবাসে গিটার বাজাতে ও গান শুনতে। এদিকে মেধাবী ছাত্র পড়াশুনো জন্য প্রয়োজনীয় মোবাইল এপ ছাড়া কোনো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতো না। তবে জয়েন্টের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পরও মেধাবি ছাত্র হিমাংশুর পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে ষ্পষ্ট বার্তা আইটি বা মেডিকেল কোনোটিই সাফল্যের এক মাত্র পথ নয়। ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার না হলেও জীবনে বহু কিছু করা যায়। কারন, তারমতে বহু ছাত্রছাত্রী বারবার জয়েন্টে অংশ নিয়ে মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পেছনে ছুটে অসফল হলে মানসিকভাবে অনসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তাই এটা মনে রাখতে হবে আইটি কিংবা মেডিকেল কোনোটিই সফলতার একমাত্র মাইলফলক হতে পারে না। ইচ্ছেশক্তি ওপর ভর করে যেকোনো বিষয় নিয়ে সফলতা অর্জন করা যায়।