পুলিশের উদ্যোগে থানা চত্বরে মন্দিরের সামনে ইফতার, গড়ে উঠলো সম্প্রীতির নজির, সাধুবাদের সঙ্গে আইসির প্রশংসা বিধায়কের গলায়। রমজান মাস শেষ। এরপরেই খুশির ঈদ।আর রমজানের শেষ দিনে বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল ইফতার পার্টি। সকলে মিলিত হয়ে যেখানে রমজানের উপবাস ভাঙলো। আবার অনেক ইফতার গড়ে তুলল সম্প্রীতির নজির।
মসজিদে শুনি ভোরের আজান, মন্দিরে শাখ বাজে, গুরুদুয়ারায় প্রার্থনা গাই, গির্জা আলয় সাজে। এটাই ভারতবর্ষের সংস্কৃতি। এবার ইফতার পার্টি উপলক্ষে গড়ে উঠলো অনন্য সম্প্রীতির নজির। মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর থানায পুলিশের উদ্যোগে মন্দিরের সামনে হল ইফতার। সেই ইফতারে উপস্থিত থাকলেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। সকলে মিলে একসাথে খেয়ে ভাঙলেন রোজার উপবাস। পুলিশের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানালেন এলাকার বিধায়ক। তৈরি হল সম্প্রীতির এক মেল-বন্ধন।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা চত্বরে কালী মন্দির রয়েছে। সে মন্দিরের সামনের জায়গাতেই এদিন ইফতার পার্টি করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। যদিও এই প্রথম নয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ রোজা উপলক্ষে প্রত্যেক বছর ইফতার পার্টি করে থাকেন। সেই ইফতারে দেখা যায় এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে। ছিল পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের কর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররাও। এদিনের এই ইফতারে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস, এলাকার বিধায়ক তজমুল হোসেন, শামীমা রহমান, জিয়াউর রহমান, ব্যবসায়ী পবন কেডিয়া, তিলকি গুপ্তা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। বিধায়ক পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। এলাকায় সম্প্রীতির এক মেলবন্ধন তৈরি হয়।
আর ও পড়ুন একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সামুদ্রিক জীব (কোরাল )উদ্ধার
বিধায়ক তজমুল হোসেন বলেন, প্রত্যেক বছরই পুলিশের পক্ষ থেকে এই ইফতারের আয়োজন করা হয়। আমাদের এলাকায় ধর্ম বর্ণ কোন ভেদা-ভেদ নেই। হিন্দু-মুসলিম সকলেই এক সাথে চলে। এদিনের ইফতারেও তাই গড়ে উঠলো সম্প্রীতির নজির।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, আজ ইফতারের আয়োজন করা হয়েছিল। এলাকার বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আমরা সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছি। আগামীতেও এই উদ্যোগ জারী থাকবে।