হুগলি – চুঁচুড়া পুরসভায় এখন তুফান তোলা রাজনৈতিক অস্থিরতার আবহ। দিনকয়েক আগেই দলের নির্দেশে চেয়ারম্যান অমিত রায় ইস্তফা দেওয়ার পর পদটি এখনও শূন্য। তার মধ্যেই শুক্রবার সকালে নতুন চমক—৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তী মহকুমাশাসকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন। দুপুরের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় জোর চর্চা। তবে নাটকের মোড় ঘুরল সন্ধ্যায়—ইস্তফা প্রত্যাহার করলেন কাউন্সিলর।
সূত্রের খবর, বিধানসভা কেন্দ্রে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মনোমালিন্যই নাকি কাউন্সিলরের মাথা গরমের কারণ। যদিও কার সঙ্গে তাঁর বিরোধ হয়েছিল, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি নির্মল চক্রবর্তী। প্রথমে পদত্যাগের জেরে শোরগোল পড়ে গেলেও কাউন্সিলরকে ধরে রাখতে উদ্যোগী হন চুঁচুড়া পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তরের পুর পারিষদ জয়দেব অধিকারী। তিনি কাউন্সিলরকে বোঝান যে তাঁর পদত্যাগ দলের পাশাপাশি ওয়ার্ডবাসীর কাছেও বিরূপ সাড়া ফেলতে পারে। দলের মর্যাদা, ওয়ার্ডের পরিষেবা, এবং চলতি এসআইআর কাজের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি নির্মলকে ইস্তফা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
সন্ধ্যায় সেই আহ্বান মেনে নিজের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেন নির্মল চক্রবর্তী। জয়দেব অধিকারীর বক্তব্য—“স্থানীয় উচ্চনেতৃত্বের ব্যবহার পছন্দ হয়নি নির্মলের। আবেগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, পরে বুঝিয়ে বলায় মত বদলেছেন। পুরসভার কাজের সঙ্গে ইস্তফার কোনও সম্পর্ক নেই।”
তবে চেয়ারম্যান অপসারণের পর দলের এক কাউন্সিলরের এমন আচমকা পদত্যাগ ও পুনর্বিবেচনার ঘটনায় শাসকদলের মধ্যে যে অস্বস্তি বাড়িয়েছে, তা স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছে চুঁচুড়ার রাজনৈতিক পরিবেশ।




















