ই পুলিশ ই লালবাজার

ই পুলিশ ই লালবাজার

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ই পুলিশ ই লালবাজার। আর কাগজপত্রে নথি লেনদেন করবে না কলকাতা পুলিশ। যা কিছু কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ হবে ই মেলের মাধ‍্যমে। সব কাজ করা হবে ই-ফাইলের মাধ্যমে। কাগজের ব্যবহার কমাতে এ বার ই-অফিসে পথে হাঁটছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, আগামী ১ নভেম্বর থেকে কলকাতা পুলিশের সব ইউনিটে ই-অফিস চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।

 

সব পুলিশকর্মীকে আগামী সোমবারের মধ্যে এনআইসি ইমেল আইডি এবং ই-অফিস অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ই-অফিস ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হলে এখনকার মতো ফাইল লেনদেনের ক্ষেত্রে কাগজের ব্যবহার ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। পুরোটাই হবে অনলাইনে। তবে কোথাও কাগজে ছাপা নথির দরকার হলে তা ডাউনলোড করে দেওয়া হবে। এক পুলিশকর্তা জানান, যে সব ফাইলে স্বাক্ষর প্রয়োজন, সেই কাগজ স্ক্যান করে তাতে সই করে ফের ই-অফিসে জুড়ে দিতে হবে।

আরও পড়ুন – উৎসবের মেজাজে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে “ছট” বন্দনা

ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন সরকারি অফিসে এখন কাগজের ব্যবহার অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। কাগজের ব্যবহার কমিয়ে তথ্য লেনদেনের ক্ষেত্রে ই-প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। বিগত কয়েক মাস আগেই এই পথে হাঁটার প্রস্তুতি শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। বেশ কিছু ইউনিটে তা ইতিমধ্যে চালুও হয়ে গিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে ওই ই-অফিসের মাধ্যমে ইন্টার-ইউনিট ফাইল চালাচালি বা ফাইল লেনদেন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পুলিশের একাংশের মতে, এতে যেমন কাগজ বাঁচবে, তেমনই ফাইল নিয়ে দীর্ঘসূত্রতারও অবসান ঘটবে।

 

প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ই-অফিস চালুর আগে এখন দিনে গড়ে কয়েক হাজার এ-ফোর মাপের কাগজ লাগে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন দফতরে। পরিবেশবিদদের মতে, একটি গাছ কেটে তিন হাজার কাগজ তৈরি করা হয়। ফলে কলকাতা পুলিশ ই-অফিস ব্যবস্থা সর্বত্র চালু করলে তা পরিবেশবান্ধবও হবে। পুলিশ সূত্রের খবর, ই-অফিস চালুর আগে কর্মীদের যেমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তেমনই অফিসারদের হাতেকলমেও দেখানো হয়েছে। ফলে ইতিমধ্যে অফিসারদের ছুটি সংক্রান্ত এবং অন্যান্য জরুরি কাজের আবেদন ই-ফাইলের মাধ্যমে চালু হয়ে গিয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top