১৪ বছরের মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। খাস কলকাতায় ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য যৌন মিলনে নিষেধ ছিল স্ত্রীর। তার সুযোগ নিয়ে স্ত্রীয়ের অজান্তেই তাঁদের কন্যা সন্তানকে দিনের পর দিন জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অভিযুক্ত স্বামী। নিজের ১৪ বছরের মেয়ের সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে যাচ্ছিল সে। বিয়ের ১৯ বছর পর স্বামীর এই কাণ্ডে হতবাক স্ত্রী। চাঞ্চলকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণপুরের মনোরঞ্জনপল্লিতে। অভিযুক্ত বাবাকে ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করেছে পুলিস। নারায়ণপুর থানায় পকসো আইনে রুজু হয়েছে মামলা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের স্ত্রীর বেশকিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। স্ত্রীর অসুস্থতার সুযোগে অভিযুক্ত তাঁর ১৪ বছরের মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালাত। তাঁর যৌন চাহিদা মেটাত। বাবার এই কুকীর্তির কথা ঠাকুমাকে জানিয়েছিল নাবালিকা নাতনি। কিন্তু অভিযোগ, ঠাকুমা কোনও কর্ণপাতও করেনি। উল্টে ভয় দেখায় নাতনিকে। ভয়ে, লজ্জায় চুপ করেছিল মেয়েও। ভয়াবহ দিনগুলির কথা মাকে জানাতে না পেরে গুমরে মরছিল সে। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছিল মেয়ের। তবে পুজোর সময় মামাবাড়িতে বেড়াতে গেলে নির্যাতিতা নাবালিকাকে দেখে সন্দেহ হয় মামারবাড়ির লোকেদের। তাঁরা জানতে চায় কী হয়েছে। তখন মামাবাড়িতে দিদিমাকে সব কথা খুলে বলে ওই নাবালিকা। এরপর দিদিমা সে কথা তাঁর মেয়েকে জানান।
কিন্তু তারপরেও ওই নাবালিকার পরিবারের কেউ কোনও অভিযোগ করতে চায়নি। শেষে ভাইফোঁটার পর নির্যাতিতা নাবালিকা সিদ্ধান্ত নেয় যে, সে নিজেই অভিযোগ দায়ের করবে। সেইমতো সোমবার রাতে নারায়ণপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা নাবালিকা। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতেই অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজ ধৃতকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।
আর ও পড়ুন ভোপালের সরকারি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভয়াবহ আগুন! মৃত ৪ শিশু
এই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিযুক্তের স্ত্রী। পাশাপাশি, শাশুড়ি বিরুদ্ধেও শাস্তির দাবি জানান তিনি। বিস্তারিত জানার পর, মা তার মেয়ের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং এমনকি তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন স্ত্রী। ধৃত স্বামীকে জেল হেফাজতে নেয় নারায়ণপুর থানার পুলিশ।