বিক্ষিপ্ত উত্তেজনার মধ্যেই শুরু হয়েছে কলকাতা পুরভোট

বিক্ষিপ্ত উত্তেজনার মধ্যেই শুরু হয়েছে কলকাতা পুরভোট

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
উত্তেজনার

বিক্ষিপ্ত উত্তেজনার মধ্যেই শুরু হয়েছে কলকাতা পুরভোট। শুরু হলো কলকাতা পুরভোট।   সকাল সকাল ভোট শুরু হতেই বিক্ষিপ্ত উত্তেজনা, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা শুরু হয়েছে।কোথাও ভুয়ো ভোটার তো কোথাও সিসিটিভি বিকল থাকার অভিযোগ উঠছে। এরই মধ্যে শহরের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে মুখোমুখি তৃণমূল ও কংগ্রেস প্রার্থী। বচসা, হাতাহাতির অভিযোগ। পুলিশ দু’পক্ষকে সরিয়ে দিলেও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।

 

পুরভোটের ভোটগ্রহণ চলছে কলকাতায়। ভোট চলাকালীন পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষকুমার পাঠক ও তৃণমূল প্রার্থী শক্তিপ্রতাপ সিং মুখোমুখি চলে আসেন। উভয় পক্ষেরই অভিযোগ, প্রতিপক্ষ নিয়ম ভেঙে বহিরাগতদের নিয়ে এলাকায় ঘুরছেন। এরপরই দু’জনের মধ্যে বচসা বেধে যায়। অভিযোগ ওঠে হাতাহাতিরও।

 

পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়ান কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। তৃণমূল প্রার্থী অভিযোগ করেন, তাঁকে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মারধর করেছে। পুলিশ দু’পক্ষকে দূরে সরিয়ে দেয়। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। এদিকে, শিয়ালদহের টাকি গার্লস স্কুলের বুথে উত্তেজনাও দেখা দিয়েছে। কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূল হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ।

 

বুথে চড়াও হয়ে মারধর ও বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁর শাড়ি, ব্লাউজ ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মাহেশ্বরী বয়েজ স্কুলের ১৯ নম্বর বুথ।অভিযোগ, এদিন ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বুথে চড়াও হয় শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুথে চড়াও হয়ে তারা মীনাদেবী পুরোহিত সহ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেয়। এক বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, মেরে তাঁর ঠোঁটও ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মীনাদেবী পুরোহিত অভিযোগ করলেন, “তৃণমূলের প্রার্থী আমার সাথে ধাক্কাধাক্কি করে। আমাকে বুথে যেতে দিচ্ছে না। আর একটা গুন্ডা মেয়েকে নিয়ে এসেছে। সে আমার শাড়ি ছিঁড়ে দিয়েছে, ব্লাউজ ছিঁড়ে দিয়েছে। ধাক্কা দিয়েছে। বুকে মেরেছে।” গোটা এলাকাটাই তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী দখল করে রেখেছে বলে দাবি তাঁর।

 

পুরভোটকে  ঘিরে উত্তপ্ত কলকাতার ৪৫ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড। দু’জায়গাতেই প্রার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ। কোথাও তৃণমূল কংগ্রেসের  সঙ্গে কংগ্রেসের হাতাহাতির অভিযোগ। কোথাও পুলিসের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন বিজেপি  প্রার্থী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিসের লাঠিচার্জ। রণক্ষত্র এলাকা।

 

দুই প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতিকে ঘিরে উত্তপ্ত বড়বাজারের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেসএবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। এলাকায় প্রচুর বহিরাগত থাকার অভিযোগ। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গণ্ডগোল সামাল দিতে পুলিস লাঠিচার্জ করে। বিজেপিরও অভিযোগের তির কংগ্রেসের দিকেই।

 

একই ভাবে উত্তপ্ত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বুথ। বিজেপি  প্রার্থী ব্রজেশ শা’র অভিযোগ, ওয়ার্ডের এক নির্দল প্রার্থীকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে বসতে দেওয়া হয়নি। ভয় দেখিয়ে বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, সেক্টর অফিসসার এবং প্রিসাইডিং অফিসারও প্রার্থীকে বসতে দেননি। দুই অফিসারের বদলির দাবিতে সরব বিজেপি। ওই নির্দল প্রার্থীকে বুথে বসাতে ময়দানে নামেন বিজেপিপ্রার্থী। এরপরই পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কার্যত মারামারির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পাল্টা বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিস। দু’পক্ষকে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top