সরকারি উদ্যোগে চার দশকেও মেলেনি সেতু । সুখা মরসুমে নৌকা না চলায় ঘাটের ইজরাদার এর উদ্যোগে জাল ধোঁয়ায় রায়ডাক নদীতে সাঁকো তৈরি হলো। বুধবার ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন, কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ ২ নং ব্লক সভাপতি ধনেশ্বর বর্মন, ও মহিষ কুচি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুমন বর্মন সহ বিশিষ্টজনেরা।
শালডাঙ্গা ও জালধোঁয়ার মাঝে বয়ে গিয়েছে রায়ডাক নদী। তাই তুফানগঞ্জ 2 নং ব্লকের 11 টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে রামপুর ১ রামপুর ২ ও ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ব্লক এর বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গত 40 বছর ধরে ওই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা রায়ডাক নদীর ওপর সেতু তৈরির দাবি জানিয়েছেন সেতুটি তৈরি হলে যেমন তুফানগঞ্জ 2 নং ব্লক উপকৃত হবে, তেমনি অসম- বাংলা ও ভুটানের মধ্যে যাতায়াত সহজ হবে।
বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে জালধোঁয়া সেতু ও সেতুর উপর 9 কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরির জন্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাতেই আনন্দে মেতে উঠেছিলেন শালডাঙ্গা, রামপুর ও ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ। ভোট পেরিয়ে গেলেও বাস্তবে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ ওই এলাকার মানুষদের মধ্যে।
আর ও পড়ুন নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে প্রশাসনের দরজায় হন্যে হয়ে ঘুরছে দুই মৃত ব্যাক্তি
জানা যায়, জালধোয়াতে সেতু তৈরি হলে, তুফানগঞ্জ 2 নং ব্লক তথা তুফানগঞ্জ মহকুমা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হিসেবে পরিচিত হবে। তাই জালধোঁয়া ঘাটে রায়ডাক নদীর ওপর সেতু তৈরির জন্য বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন। প্রতিবারই নির্বাচনের আগে এই সেতুটি তৈরীর আশ্বাস দিলেও পরে কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতি রাখেন না বলে অভিযোগ। রায়ডাক নদীর ওপর একভাগে তিনশো মিটার দীর্ঘ সাঁকো তৈরির করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ভজন সাহা,অসীম সাহা,বিকাশ সাহা তিন জন ইজরাদারা।
তিনি জানান, ৪০০ মিটার চওড়া নদীর ঘাট ইজরা নিয়েছেন সরকারের কাছ থেকে।৮ মাস বেশি জল থাকায় দুটো নৌকা দিয়ে নদী পারাপার করলেও বাকি চার মাস জল কমে যাওয়ায় নৌকা চালানো সম্ভব হয় না।তাই সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। সাঁকোটি উদ্বোধন করতে এসে, বলেন ধনেশ্বর বর্মন বলেন,
তিনি একাধিকবার সেখানে সেতু তৈরির জন্য দাবি জানিয়েছেন কিন্তু 11 টি গ্রাম পঞ্চায়েত কুচবিহার জেলার মধ্যে অবস্থিত হলেও রামপুর 1-2 এবং ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েত তিনটি পূর্ত দপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের অন্তর্গত। দুই জেলা প্রশাসনের টানাপোড়েনে সেতুটি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এদিন অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিষকুচি এক নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুমন বর্মন।