রাজ্য – রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে স্থানীয় প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত সেই দায়িত্ব পালনে পিছিয়ে রয়েছে। রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বার্ষিক কাজের মূল্যায়নের ফল প্রকাশের পর দেখা গেছে, দক্ষিণবঙ্গের বহু পঞ্চায়েত বিভিন্ন বিভাগে অনুত্তীর্ণ হয়েছে। তাদের দুর্বলতা চিহ্নিত করে সমাধানের পথ দেখাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর।
দফতর সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণবঙ্গের ১৪টি জেলার মোট ৪১৩টি অনুত্তীর্ণ পঞ্চায়েতকে নিয়ে দু’দফা বৈঠক করা হচ্ছে। প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার হাওড়ার শরৎ সদনে, যেখানে আটটি জেলার অনুত্তীর্ণ পঞ্চায়েতের প্রধান ও অধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। জেলার তালিকায় রয়েছে— বাঁকুড়া, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়া।
দ্বিতীয় দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ নভেম্বর, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে, যেখানে দক্ষিণবঙ্গের বাকি ছ’টি জেলার অনুত্তীর্ণ পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের ডাকা হবে।
দফতরের মতে, এই বৈঠকের লক্ষ্য হলো পঞ্চায়েতগুলোর ব্যর্থতার কারণ চিহ্নিত করা এবং সেগুলি কাটিয়ে ওঠার জন্য কার্যকর পরামর্শ প্রদান। কোথায় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, কেন প্রত্যাশিত ফল আসছে না— সেই সব বিষয় নিয়েই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে। দফতর ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে যে পঞ্চায়েতের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
পর্যবেক্ষণ অনুসারে, বেশিরভাগ পঞ্চায়েত অনুত্তীর্ণ হওয়ার প্রধান কারণ নিজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে না পারা। গত বছর থেকে দফায় দফায় কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া সত্ত্বেও কিছু পঞ্চায়েত এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। সেই কারণে এ বার বৈঠকে স্বনির্ভর আয় বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।




















