রাজ্য – উন্নয়নের কাজ দ্রুত শেষ করতে আজ, মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরে কোন কোন প্রকল্পে কী অগ্রগতি হয়েছে, কোথায় ঘাটতি রয়ে গেছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই তৈরি করতে বলা হয়েছিল প্রতিটি দপ্তরের সচিবদের। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আজ মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক পর্যালোচনা করবেন।
সোমবার নবান্নে একাধিক প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে জেলা, মহকুমা ও বিডিওদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং বৈঠক হয়। সেখানে হঠাৎ যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নির্দেশ দেন, বাংলার বাড়ি ও রাস্তা-সহ উন্নয়নের কাজ যেন এসআইআর প্রক্রিয়ার কারণে উপেক্ষিত না হয়। নির্বাচন কমিশনের চাপের মুখেও অফিসারদের আশ্বস্ত করে বলেন, “ওরা একজন এক্স অফিসারকে পাঠিয়েছে। তবে তাতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দিল্লি পাঠানো হবে, বদলি হবে বললেও ভয় পাবেন না। আপনারা আপনার কাজ চালিয়ে যান।”
প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এসআইআর-এর তদারকির জন্য কমিশনের পর্যবেক্ষকরা জেলা জেলায় কাজ করছেন। অফিসারদের নির্দেশ পালন করতে অনেক ক্ষেত্রে কাজের সময়ের বাইরে থেকেও দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আধিকারিকদের পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় আর্থিক বঞ্চনা সত্ত্বেও জনমুখী প্রকল্প চালানো এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির ক্রমাগত তদারকি সামলাতে চাইছেন মমতা। এ জন্য তিনি বার্ষিক কাজের হিসেব যাচাই করবেন, কোন দপ্তর কতটা কাজ করেছে, বাজেটের কতটা ব্যবহার হয়েছে, কোন কাজ হয়নি এবং কেন হয়নি, তা খতিয়ে দেখবেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়নের কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। এই বিষয়টিও বিশেষভাবে নজরে রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশাসনিক বৈঠকের পর ৩ ও ৪ তারিখ মালদহ ও মুর্শিদাবাদে রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে মমতার। গাজোল ও বহরমপুরে তিনি সভা করবেন। একদিকে প্রশাসনিকভাবে উন্নয়ন চলবে, অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবে চক্রান্তের বিরুদ্ধে লড়াই। মাস পেরলেই নতুন বছর, এবং এসআইআর শেষ হলে কমিশন বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে। তাই দ্রুত উন্নয়নের কাজ শেষ করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাথেই, অনলাইনে জাতি শংসাপত্রসহ বিভিন্ন শংসাপত্রের জন্য আবেদন সহজ করার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করতে বলেছেন। এছাড়া এসআইআর-এর জেরে আইনশৃঙ্খলায় সমস্যা না হওয়ার জন্য রাজ্যের অফিসারদের বিশেষ নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।



















