সুব্রত সাহার উপর হামলার ঘটনায় ১৬ জন তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহার উপর হামলার ঘটনায় ১৬ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল মুর্শিদাবাদ জেলার বড়োয়া থানার পুলিশ। মন্ত্রী বিধায়ক ও তৃণমূল নেতাদের ওপর তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর হামলার ঘটনায় যে রীতিমতো মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইতিমধ্যেই দলীয়ভাবে ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওলি সিংহ রায়। সেইমতো জেলাজুড়ে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সভাপতি। মন্ত্রী ও বিধায়ক এর ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিরোধী শিবির। দলীয় কোন্দলের জেরে আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা ৷ বাদ যাননি বিধায়কও ৷
মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা ৷ তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে ঘটনার ৷ রাজ্যের মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সাংসদ অধীর চৌধুরী ঘটনার নিন্দা জানান। পাসাপাসি অধীর বাবুর এক সুরে কথা বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরিশঙ্কর ঘোষও । দু’জনেই প্রশাসনের ভূমিকা ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
পূর্ব বর্ধমানে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদের একই পরিবারের ৫ সদস্যের ৷ মঙ্গলবার মৃতদের পারিবারের সঙ্গে দেখা করে আর্থিক সাহায্যের ২ লক্ষ টাকা তুলে দিতে তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা, এলাকার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও অন্যান্য তৃণমূল নেতারা । সেখানে গিয়েই গোষ্ঠীকোন্দলের মুখে পড়তে হয় তাঁদের ৷ মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় ৷ শারীরিক ভাবেও আহত হন তিনি ৷
আর ও পড়ুন কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে প্রবল উৎসাহ
ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, “নিজেদের মধ্যে মারামারি নতুন কিছু নয় । আমাদের বলার কিছু নেই । পুলিশ প্রশাসন সব জানে । দু’টো গোষ্ঠী তৎপর । নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব পুলিশের । সারা বাংলার মতো মুর্শিদাবাদেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঝলক দেখা যাচ্ছে । এটা চলতেই থাকবে ।”
অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরিশঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, “পুলিশ কোথায় ছিল । এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল সারা বাংলাজুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনোখুনি হচ্ছে আর দায় চাপানো হচ্ছে বিজেপির উপর । তৃণমূল নানা দল-উপদলে বিভক্ত । সবার লক্ষ্য উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকার ভাগ নেওয়া।