”আমার পাওয়া উপহার, আমার যা খুশি তাই করব।’- ইমরান খান কে নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত পাকিস্তানে । ইমরানকে নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত পাকিস্তানে । পাকিস্তানের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ইমরান খান। দশ দিন কেটেও গিয়েছে। কিন্তু তিনি এখন ও লাইম লাইটে। কারণ,তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে বেআইনিভাবে সরকারি সম্পদ বিক্রির অভিযোগ। তিনি নাকি উপহারে পাওয়া একটি নেকলেস সরকারি কোষাগারে সংরক্ষণের বদলে সরাসরি বিক্রি করে দিয়েছেন ১৮ কোটি টাকায়। সূত্রের খবর,এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পাকিস্তানের Federal Investigation Agency (FIA)।
কিন্তু, অভিযোগ নিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য,”আমার পাওয়া উপহার, আমার যা খুশি তাই করব।” PMLN অর্থাৎ বিরোধীদের করা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ”এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। তোষাখানা থেকে যা বেচা হয়েছে তার রেকর্ড রয়েছে। যদি কারও কাছে এই দুর্নীতিমূলক অভিযোগের কোনও প্রমাণ থাকে তো তার সামনে আসা উচিত।” পাক সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ইমরান খান এসব বলেছেন বলে জানা গিয়েছে।
আর ও পড়ুন তোলা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতী হামলা
কিন্তু এই নেকলেস নিয়ে কেন এত ঝামেলা।তার কারণ,পাকিস্তানের আইন অনুসারে, কোনও বিদেশি নেতা বা রাষ্ট্রনায়কের থেকে প্রাপ্ত উপহার সরকারি কোষাগারে রাখা হয়। কিন্তু, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী সেরকম কিছুই করেননি। অন্যদিকে,পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর বলছে, দেশের সরকারি কোষাগার ‘তোষাখানা’-এ রাখার বদলে দামী নেকলেসটি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন যেটি ছিল বিদেশ থেকে পাওয়া উপহার। বিষয়টি নিয়ে পাক গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, লাহোরের এক ব্যবসায়ী জুলফি বুখারিকে তিনি ওই নেকলেসটি ১৮০ মিলিয়নের বিনিময়ে বিক্রি করেছেন। এই ব্যবসায়ী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত।
এদিকে,পাকিস্তানের ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ (Express Tribune)-এর রিপোর্ট বলছে, সেই বিতর্কিত নেকলেসটি দ্বীপরাষ্ট্রের কোনও রাষ্ট্রনায়কের দেওয়া। আর সেই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে,ইমরান খান নেকসেলটি নিজের পত্নী বুশরা বিবিকে বিক্রি করতে দিয়েছিলেন। কিন্তু শুধু নেকলেস নয়, জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরানের পাওয়া আরও কিছু উপহার বুশরা বিবি ও তাঁর বন্ধু ফারাহ শাহজাদি নিয়ে নিয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে,অপর একটি সূত্রের দাবি, ইমরান নিজের আপ্তসহায়ককে দিয়ে হারটি ১৮ কোটি টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে এত কিছুর পরেও ইমরানের সচিব জুলফিকার বুখারি সমস্ত অভিযোগকে মিথ্যে বলে দাবি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।