প্রাকৃতিক দুর্যোগ কে উপেক্ষা করে স্টেশন পরিদর্শন করলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ যখন তার গতি হারিয়ে নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়েছে ।ঠিক সেদিনই রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ কে উপেক্ষা করে,গেদে স্টেশন থেকে শুরু করে গেদে ,বানপুর মাজদিয়া স্টেশন পরিদর্শন করলেন। মানুষের সাথে কথা বলে জানতে চাইলেন স্টেশন গুলো নিয়ে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা।
কেউ জানালো স্টেশনের সেট ভাঙ্গা কেউবা জানালো রেলগেটের দাবি । অনেকেই জানালেন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে। সমস্ত তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে করতে আচমকা মাজদিয়া স্টেশনের একটি চায়ের দোকানে গিয়ে হাজির হন সাংসদ। চায়ের দোকান জুড়ে সাজানো রয়েছে,মুনিরিষীদের ছবি ।
এছাড়াও স্বাধীনতার পর থেকে ভারতবর্ষের সমস্ত প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও রেল মন্ত্রীদের ছবি এবং তাদের মেয়াদ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দেখতেপান চায়ের দোকানে । এই দৃশ্য দেখে তিনি অবাক ও অভিহিত হন ।চায়ের দোকানদার গিরিধারী বিশ্বাসের সাথে কথা বলেন এবং সেই দোকান থেকে চা পান করেন। চায়ের দোকানদার সাংসকে কাছে পেয়ে আবেগতাড়িত হয়ে জড়িয়ে ধরেন ।
আর ও পড়ুন জাওয়াদের দুর্যোগের মধ্যেই নৌকা উল্টে দশজন পড়ে গেলেন সুন্দরবনের বেতনী নদীতে
সাংসদের হাতে চায়ের কাপ তুলে দেন । জগন্নাথ বাবু চা খেয়ে সন্তুষ্ট হন, এবং গিরিবাবুর দোকানের প্রসঙসা করেন ।গিরি বাবুকে চায়ের দোকানদার কে সাংসদ চায়ের দাম দিতে গেলে তিনি নেননি কোনো পয়সা । এমনকি ওই সময় দোকানে উপস্থিত সকল দর্শনার্থী এবং ভ্রমণকারীর কাছ থেকেও চায়ের পয়সা নেননি । সকলকেই বিনা পয়সায় চা পান করান ।
গিরি বাবুকে এবাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমার চায়ের দোকানে সাংসদ এসেছেন আমি ধন্য ।ঐ সময় সাংসদের কাছ থেকে পয়সা নিয়নি , অথচ অনান্য সকলের কাছ থেকে পয়সা নিলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া হবে ,তাই আমি কার কাছেই চায়ের পয়সা নিইনি । জগন্নাথ বাবু গিরিবাবুর চায়ের দোকানের প্রশংসা করেন এবং গিরিবাবুর উদ্দোগকে ধন্যবাদ জানান ।