হাওড়ার উৎসবে মেলায় দোলনার কাজ করার সময় প্রায় সত্তর ফুট উপর থেকে পড়ে গুরুতর জখম চার শ্রমিক! হাওড়ার রামরাজাতলা শংকর মঠ সংলগ্ন মাঠে সোমবার ঘটল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মেলার জন্য নির্মীয়মান দোলনা তৈরির সময় প্রায় সত্তর ফুট উপর থেকে পড়ে গুরুতর আহত হলেন চার শ্রমিক।এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ মঠের মহারাজ অর্থ রোজগারের জন্য এই মেলা করতে অনুমতি দিয়েছেন।কিন্তু,মঠের ভেতরের মাঠে নোটিশ টাংগিয়ে বলা আছে এই মাঠে সাইকেল বাইক ঢোকা নিষিদ্ধ। কিন্তু মেলার জন্য বড় বড় গাড়ি ঢুকলে তাতে কোনো বাধা নিষেধ নেই। এদিকে, এই নিয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ জানিয়েছেন, এই ভেঙে পড়া নাগরদোলার অংশ কোন বাচ্ছার উপর পড়লেও চরম ক্ষতি হতে পারত।
এ বিষয়ে নাগরদোলার কর্মীর দাবি, “দোলনার কাঠামো তৈরির সময় কাঠামোগুলো বাঁকানো থাকে। সেই কাঠামোর আংটা সোজা হয়ে বেরিয়ে যায়। আর তাতেই এই বিপত্তি ঘটে। দোলনার উপরে দুইজন কাজ করছিল। তারা উপর থেকে মাটিতে পড়ে যায়। আঘাত পায় দুইজনেই। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত সুস্থ আছেন তারা। ” তিনি আরো জানান, “রাকেশ মন্ডল ও উলা শেখ এই দুজন আহত হয়েছে। এদের বাড়ি বাড়ুইপুর থানা এলাকায়।”
আর ও পড়ুন সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে দাদার হাতে খুন ভাই
কিন্তু স্থানীয় এক বাসিন্দা এই মেলা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে স্পষ্ট বলেন, ” বাচ্ছারা খেলাধুলা করলে মাঠ নষ্ট হওয়ার কথা বলে মঠের মহারাজ। আর মেলার জন্য মাঠে গর্ত খুঁড়লে মাঠ খারাপ হয় না। মাঠের ভিতরে সাইকেল, বাইক রাখলে অশান্তি হয়। পোস্টার মেরে তা লেখা আছে। অথচ বড় বড় গাড়ি মেলার জন্য ঢুকলে তাতে মাঠের ক্ষতি হয় না। আসলে অর্থ উপার্জনের জন্য মঠের মহারাজ মেলা করার অনুমতি দিয়েছেন।”আর তাই তিনি এই মেলা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানান। তিনি আরো বলেন,”এই কাঠামো যদি কোনো বাচ্ছার গায়ে পড়ত তাহলে তার পরিবারের সর্বনাশ হত। সেই দায়িত্ব কেউ নিত না।”
অন্যদিকে,স্থানীয় মানুষ অভিযোগ জানান, “কোনরকম সেফটি বেল্ট ছাড়াই শ্রমিকরা নগরদোলার জয়েসের উপরে। সেখান থেকেই পড়ে যায় তারা।” আবার প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, ঠিকাদারদের ঘটনার পরেই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে ঠিকাদার গোষ্ঠী। এমনকি প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও নাকি করা হয়। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যায় জগাছা থানার পুলিশ বলে জানা গিয়েছে।বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।তবে,এই দুর্ঘটনার পরে কাজ বন্ধ করে দেন মেলার বাকি শ্রমিকরা বলেও জানা গিয়েছে।