উড়াল পুল নির্মানে কেন্দ্রের গড়িমসি, সরব সাংসদ শতাব্দী রায়। কেটে গেছে দীর্ঘ পাঁচ বছর, কিন্তু এখনো সাধারণ মানুষকে যানজট থেকে সুরাহা দিতে পারেনি রেল মন্ত্রক। যা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দি রায়। পূর্ব রেলের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সাংসদ দাবি করেন, যেভাবে রেলমন্ত্রী উড়ালপুল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গড়িমসি দেখাচ্ছে তাতে দিনের পর দিন সাধারন মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।
পাশাপাশি শতাব্দি রায় বলেন, তাহলে রেল লাইনের উপরে আমাদেরকে উড়ালপুল নির্মাণের দাবিতে অবরোধ করতে বসতে হবে। যদিও রেলের আসানসোল ডিভিশনের তরফে জানানো হয় দুর্গাপূজো শেষ হলেই তিনটার দিকে দ্রুত উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে। প্রসঙ্গত সিউড়ি থেকে বোলপুর যাওয়ার পথে পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে রামপুরহাট অন্ডাল ট্রেন লাইন। যখন তখন ট্রেন যাওয়ার ফলে রেলগেট পড়ে যায়, এতদিন সাধারণ মানুষকে যানজটের মধ্যে পড়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
এমনকি মুমূর্ষ রোগীকে এম্বুলেন্সে করে বর্ধমান বা কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় যানজটে পড়ে গিয়ে রোগী মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটছে। একাধিক বিক্ষোভের পরও কোনো হেলদোল নজরে আসছে না রেল দপ্তরের। বিষয়টি নিয়ে স্বয়ং সাংসদ শতাব্দি রায় পথে নেমে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রেল দপ্তরে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন বারবার।
আরও পড়ুন – পুজোর আগে সেভাবে জমলো না বাম কর্মচারীদের নবান্ন অভিযান
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন সিউড়ী বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। ঘটনা প্রসঙ্গে আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম পরমানন্দ শর্মা বলেন, হাটজন বাজার উড়ালপুল নির্মাণে ঠিকাদার মামলা করেছিল, সেই আইনি জটিলতা কেটে গেছে, পূজোর পর নতুন টেন্ডার ডেকে নতুন ঠিকাদারকে উড়ালপুল নির্মাণের কাজ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে উড়ালপুলের ৪৮% শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু এখনও ৫২% কাজ বাকি রয়েছে।
সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী ও সাংসদ শতাব্দি রায় জানিয়েছেন, রেল দপ্তরে ঠিকাদারের সমস্যার জন্য সাধারণ মানুষ পাঁচ বছর ধরে কেন দুর্ভোগ সহ্য করবে, উড়ালপুল নির্মাণ করতে গিয়ে ওই এলাকার রাস্তার যে অবন্নতি হয়েছে তাতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং মানুষের মৃত্যু অবধি হতে পারে। তাই আমাদের আবেদন রেল দফতরের কাছে আবেদন যত দ্রুত সম্ভব সাধারণ মানুষকে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিক।