ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিন। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে দিনে যদিও গরম থাকে কিন্তু রাত বাড়লে কমছে সেই তাপমাত্রা। ভোরের দিকের হাওয়াটা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। যদিও শীত আসতে কিছুটা দেরি আছে এখনো, তবে প্রস্তুতি তো আগে থেকেই নিতে হয়। কারণ প্রকৃতিতে কিংবা আমাদের ত্বকে শীতের চিহ্ন কিন্তু একটু একটু করেই পড়া শুরু করবে।
এই সময়ে রোদ না থাকলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার দরকার নাই এমন ভাবনা ভাবা যাবেনা। আপনার ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক এসপিএফ বেছে নিন। এতে আপনার ত্বক রোদ থেকে রক্ষা পাবে। যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করছেন সেটি যেন অন্তত ১৫ এসপিএফ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আকাশ মেঘলা থাকলেও ত্বকের যত্নে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। চেষ্টা করবেন যাতে এটি ভিটামিন ই ও সি যুক্ত হয়।
শীতকালে বাতাস শুষ্ক হতে শুরু করে দেয়। সেই শুষ্কতার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকেও। এসময় প্রচুর পরিমানে জল পানের করার দিকে মনোযোগ কম থাকে সবারই। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে হারাতে থাকে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। পাশাপাশি দেখা দেয় ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা। সেজন্য এসময় ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে হবে। এক্সফোলিয়েশন ত্বকের উপরের মৃত কোষ তুলে ফেলতে সাহায্য করে। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। ত্বক হয় কোমল ও উজ্জল।
ত্বক ভালো রাখার জন্য যত্নের অংশ হিসেবে নিয়মিত জল পান করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত আট-দশ গ্লাস জল পান করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং ত্বক হবে সুন্দর। বিশেষ করে শীতের সময় ত্বকের ময়েশ্চারাইজার খুবই জরুরি। এটি ত্বকে আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি ত্বককে ভেতর থেকে রাখে সতেজ। রাতে ঘুমের আগে মুখ পরিষ্কার করে টোনার টোনার। এরপর তাতে ফেস সিরাম ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। বজায় থাকবে ত্বকের তারুণ্য।
আর ও পড়ুন পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উপর জোর দিলেন মমতা
এসময় মেকআপ ব্যবহারেও আনতে হবে পরিবর্তন। যেহেতু এসময় বাতাস শুষ্ক হতে শুরু করে তাই মেকআপ যত কম ব্যবহার করা যায় ততই ভালো। প্রাইমার, ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করে বিবি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
উল্লেখ্য, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিন। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে দিনে যদিও গরম থাকে কিন্তু রাত বাড়লে কমছে সেই তাপমাত্রা। ভোরের দিকের হাওয়াটা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। যদিও শীত আসতে কিছুটা দেরি আছে এখনো, তবে প্রস্তুতি তো আগে থেকেই নিতে হয়। কারণ প্রকৃতিতে কিংবা আমাদের ত্বকে শীতের চিহ্ন কিন্তু একটু একটু করেই পড়া শুরু করবে।