এবারের পূজোয় কি পরছেন ঋতুপর্ণা, দেখে নিন সপ্তমী থেকে দশমী ঋতুপর্ণার লুক ঋতুপর্ণা জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেত্রী। ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত ঋতুপর্ণা। অভিনয় করেছেন একাধিক বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রেও। বাণিজ্যিক ও শৈল্পিক – উভয় ধারার সিনেমাতে তার সুদক্ষ অভিনয় তাকে এনে দিয়েছে একাধিক পুরস্কার। অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ ও লেখালিখির সঙ্গেও জড়িত ঋতুপর্ণা। কুশল চক্রবর্তীর বিপরীতে বাংলা ধারাবাহিক শ্বেত কপোত (১৯৮৯) দিয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর অভিনয় জীবনের শুরু।
তার অভিনীত প্রথম ছায়াছবি প্রভাত রায়ের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত বাংলা ছবি শ্বেতপাথরের থালা (১৯৯২)। নব্বইয়ের দশকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ও অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সাথে একের পর এক বাণিজ্যিক বাংলা ছবিতে জুটি বেঁধে তিনি সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যান। সেই ঋতুপর্ণা কেছে পুজো নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, পুজো মানেই পুজোর ফ্যাশন কিন্তু তার সঙ্গে মনে রাখতে হবে ফিটনেস মন্ত্র। কিন্তু কোনটাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়। করোনা সময়ে নিজেকে ফিট রাখা জরুরি, পাশাপাশি অন্যদেরও খেয়াল রাখতে হবে তাই এই সময় সুস্থ থাকা প্রয়োজন।
সপ্তমী মানেই পুজো শুরু। সপ্তমীতে একটু সিম্পল সাজই পছন্দ নায়িকার। তাই সপ্তমীতে বেছে নিয়েছেন হালকা শাড়ি ও সঙ্গে সিম্পল গয়না। ঋতুপর্ণার শাড়িটি ডিজাইন করেছেন নায়িকার বন্ধু রূপম। বেগুনী রঙের মটকা সিল্কের উপর হাতে বোনা জামদানি কাজের শাড়িটি খুবই হালকা ও দেখতেও এলিগেন্ট।
ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, অষ্টমী সবথেকে স্পেশাল, এদিন সবথেকে সুন্দর শাড়িই তিনি বেছে নেন। অঞজনির জন্য বেছে নেন আটপৌরে শাড়ি। তবে রাতে নিজের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ শাড়িটাই বেছে নেন তিনি। অষ্টমীর জন্য নায়িকা বেছে নিয়েছেন কাতান বেনারসি, সঙ্গে সিলভার গয়না ও মাথায় জুঁইফুলের মালা। টানা বানায় ব্যবহার করা হয়েছে দুধরনের সুতো তাই শাড়িতে রয়েছে দুটো রঙের মিশ্রন।
আর ও পড়ুন বিগ বস ১৫’ – র প্রতিযোগীদের জঙ্গলে বাস করতে হবে !
নবমী মানেই একটু অন্যরকম। নবমীতে সাজগোজ নিয়ে একটু পরীক্ষানিরীক্ষা করা যায়, ফিউশন করা যায়। সিম্পল শাড়ির সঙ্গে যে গয়না পরেছি ফিউশান সঙ্গে ডিজাইনার ব্লাউজ।নবমীর সাজটা হয় আলাদা কারণ নবমী মানেই পুজো শেষ। তাই এদিনের জন্য ঋতুপর্ণা বেছে নিয়েছেন খুব সিম্পল একটা হ্যান্ডওভেন কটন শাড়ি,আঁচলে রয়েছে ঘিচা সুতো ও কপার জড়ির বর্ডার। এছাড়া আঁচল জুড়ে রয়েছে গোল্ডেন ও কপারের স্ট্রাইপ।
দশমী মানেই মনখারাপের দিন । সকলের প্রিয় দশমীর সাজ হল লাল পাড় সাদা শাড়ি, ঋতুপর্ণাও তার ব্যতিক্রম নন। এই শাড়িটি ডিজাইন করেছেন স্বর্ণালী কাঞ্জিলাল। দশমীর জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন পিওর জর্জেট। বেনারসে তৈরি হয়েছে এই শাড়ি। ট্যাডিশনাল সিল্কের উপর জারদৌসি কাজের এই শাড়ির সঙ্গে বেছে ঋতুপর্ণার পছন্দ লাল টিপ।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর শ্বশুরবাড়ি লেক গার্ডেন্সে। টানা বৃষ্টিতে জলে ঘেরা তাঁর বাড়ি। ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন তাঁর উদ্বেগ ও মনখারাপের কথা। জলে ডোবা শহরে অনেক নাগরিকই বিপন্ন হন ফি-বছর। কলকাতার কিছু কিছু অংশ প্রতি বারই জমা জলের সমস্যায় পড়ে। লেক গার্ডেন্স তেমনই একটি জায়গা। ঋতুপর্ণা বললেন, ‘‘বিয়ের পর থেকেই এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আমি। বৃষ্টি এত ভালবাসি, কিন্তু একটু বেশি বৃষ্টি হলেই জমা জলের জন্য মনখারাপ হত। এখন ওই বাড়িতে অসুস্থ শাশুড়ি থাকেন। কলকাতার বাইরে বেশির ভাগ সময়। তাঁর জন্য চিন্তা হয় খুব। কিন্তু কী করব, বুঝতে পারি না।’’ তাই মনখারাপ ঋতুপর্ণার।