এই অর্থবর্ষেই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশেন দেওয়ার আশ্বাস হাওড়া পুরসভার। এই অর্থবর্ষেই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশেন দেওয়ার আশ্বাস হাওড়া পুরসভার।এদিন পেনশনের দাবিতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভ হল হাওড়া পুরসভায়।এই বিষয়ে পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের দাবি ,পেনশনের ব্যাপারে ওনাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যারা পেনশন পাননি এই অর্থবর্ষেই সেই টাকা তাঁদের দিয়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত,হাওড়া পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের পেনশনের টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে পুরভবনে প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সনের ঘরের সামনে বিক্ষোভ হয়। বুধবার সকালে পুরসভা চত্বরে বিক্ষোভ শুরু হয়। তাঁরা পুরসভায় চেয়ারপার্সনের অফিসের গেটের সামনেই রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৬ সালের পর যাঁরা অবসর গ্রহণ করেছেন তাঁরা পেনশন পাচ্ছেন না। এমনকি যাঁরা সদ্য বছর দুয়েক আগে অবসর নিয়েছেন তাঁরা পিএফের টাকাও পাচ্ছেন না। এরই প্রতিবাদে এদিন সকাল থেকে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী নিখিল চন্দ্র জানা জানান, আমদের অবসরের পর যে টাকা পাওয়ার কথা সেই টাকা এখনও পাচ্ছি না। এমনকি ২০১৯, ২০২০ সালে অবসর নিয়েছেন এমন অনেকে তাঁদের জমানো প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও পাচ্ছেন না। সেই কারণে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি। যদি দাবি না মানা হয় তাহলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। এটা জটিলতা আছে। নির্বাচন না হওয়ার জন্য উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তবে কি হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে ৬-৭ বছর আগে অবসর নেওয়া ২০১৬ সালে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ২০২০ সালের সংশোধিত হারে বেতন দেওয়া হচ্ছে না। এবিষয়ে হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী জানান, পেনশনভোগীদের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং হয়েছে। তাঁদের প্রাপ্যর বেশিরভাগ গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বাকি কিছুটা এই অর্থবর্ষে দিয়ে দেওয়া হবে। বেশিরভাগ কর্মচারী গ্রাচুইটি পেয়ে গিয়েছেন। পেনশনের ক্ষেত্রে ফাইল ডিপিপিজিতে পাঠানো হয়।
সেখান থেকে কয়ারিস দিয়ে সেই ফাইল দপ্তরে পাঠায়। সেই ফাইল উত্তর দিয়ে আবার পাঠাতে হয়। এই পদ্ধতির জন্য কিছুটা সময় লাগছে। সেই কারণে অবসরের পর যে সুবিধা সঙ্গে সঙ্গে পাওয়ার কথা তাঁরা পাননি। পেনশনের ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাঁদের জানান হয়েছে যারা পাননি এই অর্থবর্ষে সেই টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।
সিইউডিপির প্রকল্প আছে যেখানে একটি প্রকল্পে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে তাঁরা স্থায়ী করা হয়েছিল তাদের ব্যাপারে ওপর লেভেল থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। যতদিন না সেই সিদ্ধান্ত হবে ততদিন পর্যন্ত ওই শ্রেনীভূক্ত কর্মচারীদের দেরি হচ্ছে। ওনাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওনাদের না পাওয়ার তালিকা থেকে অনেকটাই পেয়েছেন তাঁরা। তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল এই অর্থবর্ষে তাঁদের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। তারপরেও কেন ওনারা এদিন ধর্না দিলেন তা জানা নেই।