কলকাতা, ১১ জুলাই :- কথায় বলে ‘শরীরের নাম মহাশয়,যা সয়াবে তাই সয় ‘- কিন্তু তা বলে হঠাৎ করে যে কিছু ঘটবে না সে তো বলা যায় না। তাই তো বলে সম্ভবপরের জন্য তৈরী থাকা দরকার।প্রতিদিনের চেনা জীবনে অসাবধানে কিছু না কিছু দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে।শিশুদের নিয়ে হয়তো ভয় টা একটু বেশি। বর্তমান পরিস্থিতি এবং লকডাউনের জেরে বাড়িতে সবার কাজ অনেকটাই বেড়েছে, তার সঙ্গে বেড়েছে চোট-আঘাতের আশঙ্কাও। সাধারণত আমরা শরীরের কোথাও কেটে গেলে , জীবাণুনাশক নানা ওষুধ দিয়ে থাকি। যার জন্য বাড়িতে ফার্স্ট এইড রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। এবার সেই ব্যাপারে জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।
আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে কোথাও কেটে গেলে প্রথমেই জায়গাটা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।ঘরে সব সময় আয়োডিন জাতীয় অ্যান্টিসেপটিক সলিউশন, গজ ও কাপড় রাখুন। ক্ষতস্থান শুকোতে এটি খুব কার্যকরী। ধোওয়ার পরে দেখতে হবে, ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কি না। রক্ত বেরতে থাকলে জায়গাটি গজ কাপড় ও পেপার টেপ দিয়ে ভালো করে ব্যান্ডেজ করে নিতে হবে। লোহায় কাটলে অবশ্যই টিটেনাস দিতে হবে । তবে জন্মের পরই যদি কারও টিটেনাসের কোর্স নেওয়া থাকে, তাহলে দশ বছরের মধ্যে ক্ষতের জন্য টিটেনাস না নিলেও চলে।এই সমস্ত কিছু করার পরেও দীর্ঘদিন ধরে ক্ষত না শুকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ক্ষতস্থান ফুলে যাওয়া, প্রচন্ড ব্যথা, সঙ্গে যদি জ্বরও এসে যায় বুঝতে হবে সংক্রমণ ঘটেছে। তখন ওরাল অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া উপায় নেই। কোন অ্যান্টিবায়োটিক আপনার জন্য উপযুক্ত, তা জানতে কিন্তু চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। করোনা আবহে হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সুযোগ না হলে টেলিমেডিসিনের সাহায্য নিন। কারণ আপনার স্বাস্থ্যই আপনার সম্পদ। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।