একবিংশ শতাব্দীর চাহিদা যাতে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা পূরণ করতে পারে তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বললেন প্রধানমন্ত্রী

একবিংশ শতাব্দীর চাহিদা যাতে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা পূরণ করতে পারে তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বললেন প্রধানমন্ত্রী

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লী, ১৯ অক্টোবর, ২০২০:প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাইশোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০র শতবার্ষিকী সমাবর্তনে ভাষণ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে বলেছেন, মাইশোর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন ভারতীয় মহান শিক্ষা ব্যবস্থার এবং ভবিষ্যৎ ভারতের চাহিদা ও দক্ষতার কেন্দ্র। এই বিশ্ববিদ্যালয় ‘রাজর্ষি’ নলভাড়ি কৃষ্ণরাজা ওয়াড়িয়র এবং এম বিশ্বেশ্বরা জি-র স্বপ্ন পূরণ করছে।

প্রধানমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা যেন তাদের বাস্তব জীবনের বিভিন্ন স্তরে প্রাপ্ত শিক্ষা থেকে অর্জিত জ্ঞানকে ব্যবহার করে। তিনি বাস্তব জীবনকে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় বলে উল্লেখ করে বলেছেন জ্ঞানের প্রয়োগের জন্য বিভিন্ন পন্থা, এর মাধ্যমেই শেখা যায়।
নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর চাহিদা যাতে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা পূরণ করতে পারে তার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য পরিকাঠামো তৈরি এবং গঠনগত সংস্কারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের যুব সম্প্রদায়কে প্রতিযোগিতায় আরও সক্ষম করে তুলতে এবং শিক্ষার গুণমান বৃদ্ধি করতে ও ব্যাপ্তি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারতকে উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বাধীনতার এতগুলি বছর পরেও দেশে ২০১৪ সালে মাত্র ১৬টি আইআইটি ছিল। গত ৬ বছরে গড়পরতা হিসেবে প্রতি বছর একটি করে আইআইটি কাজ শুরু করেছে। কর্ণাটকের ধারওয়াড়েও এরকম একটি আইআইটি তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ২০১৪ সালে যেখানে দেশে মাত্র ৯টি আইআইআইটি, ১৩টি আইআইএম ও ৭টি এইমস ছিল সেখানে পরবর্তী ৫ বছরে ১৬টি আইআইটি, ৭টি আইআইএম ও ৮টি এইমস, হয় তৈরি হয়েছে নয় তৈরি করার কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিগত ৫-৬ বছর ধরে উচ্চশিক্ষার জন্য নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রশাসনিক সংস্কার করা হয়েছে- এরফলে লিঙ্গ সাম্য ও সর্বাঙ্গীনভাবে সামাজিক সাম্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও স্বায়ত্ত্বশাসন দেওয়া হয়েছে যাতে তারা নিজেদের চাহিদা অনুসারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশজুড়ে আইআইএম-গুলিকে আরও অধিকার দেওয়ার জন্য প্রথম আইআইএম আইন বলবৎ হয়েছে। মেডিক্যাল শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আনার জন্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন গঠন করা হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top