একাদশীর দিন নিরঞ্জন হয় কুমারডিহির মিশ্র ও ভাটপাড়ার দুর্গার। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার কুমারডিহি গ্রামের মিশ্র ও ভাট পরিবারের দুর্গা বহু প্রাচীন। কিন্তু, কোন কারণবশত বিগত কুড়ি বছর আগে বন্ধ হয়ে যায় এই পুজো। কুড়ি বছর ধরে নতুনভাবে পাড়ার লোকেরা করছেন এই দুর্গাপুজো। এই পুজোর ক’দিন পাড়ার সব লোকেদের একসাথে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে আড্ডা, সমস্তকিছুই চলে একসাথে। কিন্তু, এই পাড়ার দুর্গা প্রতিমার বিজয় দশমীর দিন নিরঞ্জন হয় না।
নিরঞ্জন হয় একাদশীর দিন বেলা ১০ টা নাগাদ। গ্রামেরই পবিত্র তালপুকুরে মায়ের নিরঞ্জন হয়। একাদশীর দিন সকাল বেলা পাড়ার মহিলারা মা দুর্গাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের সাথে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। সিঁদুর খেলার সাথে-সাথে মা দুর্গাকে ঘিরে ঢাকের তালে চলে নাচ গানও। এরপর মহাধুমধামের সাথে ঢাক বাজনাসহ মা দুর্গার নিরঞ্জন হয়। পাড়ার এক মহিলা জানান, ‘মায়ের বিদায় বেলায় কিছু ভালো লাগে না। মন খারাপ হয় প্রচন্ড।
তবে দুঃখের মধ্যেও সুখ খুঁজে পাই। আসছে বছর মা আবার আসবেন এটা ভেবেই’। পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা মন্দির কমিটির সম্পাদক কিরিটি মুখার্জি জানান, বহু বছর আগে তাদের এই পুজো চলত। কোনো কারণবশত পুজো বন্ধ হয়। বন্ধ হওয়ার পর পাড়ার লোকেরা ঠিক করে ফের পুজো করবেন। এভাবেই নতুন করে কুড়ি বছর ধরে চলে আসছে তাদের এই পুজো। এই পুজোয় পাড়ার সব লোক একসাথে এক জায়গায় খাওয়া-দাওয়া আড্ডা দিয়ে থাকেন।
পুজো ক’দিন মায়ের আগমনে পাড়ায় আনন্দের বার্তা বয়ে যায়। নিয়ম মত তারা একাদশীর দিন মায়ের নিরঞ্জন করে আসছেন। তাই আজ একাদশীর দিন তাদের দুর্গা প্রতিমার নিরঞ্জন হচ্ছে। বেশ ধুমধামের সঙ্গে মা দুর্গার প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি পবিত্র পুকুরে। সেখানেই এদিন নিরঞ্জন হল মিশ্র ও ভাটপাড়ার দুর্গা প্রতিমার।