এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বন্ধুদের বিরুদ্ধে

এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বন্ধুদের বিরুদ্ধে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তর ২৪ পরগনা,৮ই সেপ্টেম্বর: ঘরে আটকে রেখে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বন্ধুদের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনার কথা কাউকে বললে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয় ৷ গতকাল সোনারপুর থানায় স্বামী ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা । ঘটনার তদন্তে নেমে মহিলার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ ৷ ধৃতকে আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে ৷গতবছরের অক্টোবরে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকার ওই মহিলার বিয়ে হয় ৷ তাঁর স্বামীর বাড়ি ওই জেলারই মধ্যমগ্রামে । অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত । নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মহিলা বাবার বাড়ি চলে যান ৷ তাদের এখন ডিভোর্সের মামলা চলছে ৷ডিভোর্স সংক্রান্ত কাজে বুধবার তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টে ডেকে পাঠায় তার স্বামী ৷ সেইমতো মহিলা আদালতে যান । সন্ধে পর্যন্ত বসিয়ে রাখার পর ওই মহিলার স্বামী তাঁকে বলে, একজন উকিলের বাড়িতে যেতে হবে ৷ তার দুই বন্ধুর সঙ্গে উকিলের বাড়ি যেতে বলে ৷ অভিযোগ, এরপরই তার স্বামীর দুই বন্ধু তাঁকে একটি গাড়িতে করে সোনারপুর একটি বাড়িতে নিয়ে এসে দু’দিন ধরে আটকে রাখে । সেখানে তাঁকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ।শুক্রবার রাতে তাঁকে ক্যানিংয়ে নিয়ে যায় তার স্বামীর দুই বন্ধু । সেখানে তাদের হাত থেকে বাঁচতে ওই মহিলা স্টেশন চত্বরে ভিড়ের মধ্যে মিশে যান । পরে তিনি ক্যানিং রেলপুলিশের কাছে পুরো বিষয়টি বলেন । সেখান থেকে রেলপুলিশ তাঁকে সোনারপুর জিআরপি-তে নিয়ে আসে । সবকিছু শোনার পর সোনারপুর জিআরপি তাঁকে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে বলে । সেইমতো ওই মহিলা সোনারপুর থানায় স্বামী ও তার দুই বন্ধুর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।মহিলা বলেন, “আমাকে পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছিল ওই দুই যুবক ৷ বলেছিল, চিৎকার করলে মেরে ফেলব ৷ সেজন্য রাস্তায় চিৎকার করতে পারিনি ৷” পরে ক্যানিং স্টেশনে সুযোগ বুঝে তাদের থেকে আলাদা হয়ে যান ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ মহিলার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে ৷

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top