এক রাতে একই বাড়িতে তিন তিন বার জংলী হাতির হামলা! প্রাণ বাঁচাতে কেউ পালালো ভাঙ্গা জানালা দিয়ে কেউ আবার আটকে চুপটি করে ঘরেই বসে থাকলো ।ক্ষতিগ্রস্থ ঘরে মজুত করে রাখা খাদ্য সামগ্রী থেকে শুরু করে রান্নার হাড়ি- পাতিল ঘরে রাসবাস পত্র সর্বত্র। খোঁজ নিলেন না কেউ। আতঙ্কে বন্যপ্রাণ শাখার স্কোয়াডে ফোন করলে রং নম্বর বললেন আধিকারিকরা অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দার ।
ঘটনায় জংলী হাতির আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এলাকায়। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বানারহাটের সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নেপালি বস্তি এলাকায়। জানা গেছে, রাত আটটা নাগাদ সোনাখালী ও মোরাঘাট জঙ্গল থেকে ১২-১৪ টি জংলী হাতির একটি দল ঢুকে পড়ে নেপালি বস্তি এলাকার যমুনা প্রধানের বাড়ি।ঘুরিয়ে দেয় রান্না ঘর।চিতকার চেঁচামেচি শুরু করলে তেরে আসে শোবার ঘরের দিকে। আতঙ্কে পরিবারের লোকজন নিয়ে ভাঙ্গা জাংলা দিয়ে পালিয়ে বাঁচেন তারা। আশ্রয়নের পাশের একটি বাড়িতে। দু- ঘণ্টা খানেক বাদে ফের হাতির দলটি যমুনা দেবীর বাড়িতে এসে রান্নাঘর ও সবার ঘরের জানলা ভেঙ্গে দিয়ে ঘরে মজুদ করে রাখা সমস্ত খাদ্য সামগ্রী সাভার করে দেয়।
আরও পড়ুন- কালিন্দী নদীর পারে ম্যানগ্রোভ লাগিয়ে সুন্দরবনকে বাঁচাতে স্বয়ং বিডিও বিধায়ক
এরপর স্থানীয়রা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে হাতির দলটি জঙ্গলের দিকে গেলেও কিছুক্ষণ পর খাবারের লোভে আবারও এসে ঘরের দেওয়াল ভেঙে ঘরে মজুদ করে রাখা চাল ডাল আটা থেকে শুরু করে সমস্ত খাদ্য সামগ্রী খেয়ে ঘরের হাড়ি পাতিল ভেঙ্গে দেয়। বন দফতরের কর্মীদের ফোন করা সত্ত্বেও তারা আসেনি বলেই অভিযোগ। ঘরে খাদ্য নেই তাই সকাল থেকে না খেয়ে রয়েছে পরিবারটি। বনদপ্তরের কাছে পূরণের দাবি তুলেছেন তারা। অন্যদিকে জংলী হাতির হানা অব্যাহত গয়েরকাটা চা – বাগানের শ্রমিক মহল্লায়। রাত দেড়টা নাগাদ চারু লাইনের হানা দেয় ১২-১৪ টি হাতির একটি পাল। ঘুড়িয়ে দেয় ছয়টি শ্রমিক আবাস। তছনছ করে দেয় কলা বাগান। এক রাতে