এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ শিক্ষক। গত ২রা ডিসেম্বর স্কুল থেকে ঘরে ফিরে এসে, সন্ধ্যায় বাজার করতে বেবিয়ে আর ঘরে ফেরেন নি ইটাহার ব্লকের বাজে দক্ষিনাল জুনিয়র হাই স্কুলের সহ শিক্ষক সঞ্জয় পাত্র। এরকম পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে ঘরে ফেরার কাতর আহ্বান জানালেন তাঁর স্ত্রী মধূপর্না ও পরিজনেরা। জানা গেছে, নিখোঁজ ওই শিক্ষক সঞ্জয় বাবুর আদি বাড়ি বর্ধমানে। তিনি চাকরি সূত্রে ভাড়া থাকতেন রায়গঞ্জের বীরনগরে। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। বর্ধমানে রয়েছেন বয়স্ক বাবা ও মা।
চাকুরী সূত্রে ২০১১ সাল থেকে সঞ্জয় বাবু রায়গঞ্জের বীরনগরে ভাড়া থাকতেন। কিন্তু গত শুক্রবার রাত থেকে কোনও খোঁজ মিলছে না তার । ফলে উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যে রায়গঞ্জ থানায় তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এদিন মধূপর্ণা দেবী বলেন, গত ২রা ডিসেম্বর বাজার করতে বেরিয়ে আর ফেরেননি সঞ্জয়। নিজের মোবাইল টাকেও ঘরে ফেলে রেখে গেছেন। ফোনে পাশের বাড়ির এক দাদাকে বলেছেন, বাড়ি ছেড়ে চললাম, ওদেরকে দেখবেন।
ফিরে আসার কাতর আহ্বান জানিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মধূপর্না দেবী। এদিকে সঞ্জয় বাবু যে স্কুলে চাকরি করতেন, এদিন সেই স্কুলে পৌঁছে যায় আমাদের প্রতিনিধি। সেখানে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক কৌশিক দেবগুপ্ত জানান, গত শুক্রবার তিনি স্কুলে এসেছিলেন। শনিবার থেকে স্কুলে আসছেন না। কেন আসছেন না জানিনা, আমরা এস আই কে বিষয়টি জানিয়েছি।
আরও পড়ুন – ভারতের ইতিহাসে তরাইনের প্রথম ও দ্বিতীয় যুদ্ধ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ
সঞ্জয় বাবুর পরিবারের লোকেরা ফোন করে ছিলেন, তাঁরাও উৎকন্ঠায় রয়েছেন। তবে, পারিবারিক বন্ধু মানস রায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক অশান্তি ছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। প্রায়ই ঝামেলা হত। তবে যাই হোক, বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে ওর ফিরে আসা উচিত। এদিকে রায়গঞ্জ থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। এখন সঞ্জয় বাবু কবে ফিরে আসেন, সেদিকেই তাকিয়ে আত্মীয় পরিজনেরা।