এখনও এই বাড়িতে দুটো দুর্গা পুজো হয়, জানুন এই পুজোর ইতিহাস

এখনও এই বাড়িতে দুটো দুর্গা পুজো হয়, জানুন এই পুজোর ইতিহাস

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
জানুন

এখনও এই বাড়িতে দুটো দুর্গা পুজো হয়, জানুন এই পুজোর ইতিহাস। পুজোর আর কয়েকটা দিন মাত্র বাঁকি। রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গেছে পুজোর প্রস্তুতি।  পুজোর ব্যাস্ততা শুরু হয়েছে বাংলার জমিদার বাড়িগুলির পুজোরও।  এই রকমই এক জমিদার বাড়ি হল মালদার রায় বাড়ি। বর্তমানে মালদা জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রায় বাড়ির্ব জমিদারি এখন আর নেই।

 

নেই জমিদারির সেই জৌলুসও। তবে বংশপরস্পরায় এখনও নিষ্ঠার সাথে দুর্গা পুজ হয়ে আসছে রায় বাড়িতে। মালদার হবিবপুর ব্লকের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা তিলাসন। আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামের জমিদার রায় বাড়ির দুর্গাপুজো ২২১ বছরে পদার্পণ করলো। এই বাড়িতে দুটো দুর্গা পুজো হয়।প্রথমে কুলদেবতা মা দুর্গা তারপর মাটির তৈরী মা দুর্গা। সালটা ১৮০০।

 

অবোধ নারায়ণ রায়ের পুত্র শিবপ্রসাদ রায় মা দুর্গার স্বপ্নাদেশ পান মাকে পুজো দেওয়ার জন্য। সেই সময় থেকে কুল দেবতা সোনার তৈরী মা দুর্গার পুজো শুরু হয়। তবে৪জমিদারি এখন আর নেই। জমিদার বাড়িটিও আজ জরাজীর্ণ। খসে খসে পড়ছে পলেস্তারা। ইঁটের ফাঁক দিয়ে গজিয়ে উঠেছে গাছ। ভেঙে পড়ছে জানলা দরজা। তবে রায় বাড়ির পুজতে নিষ্ঠার নেই কোন খামতি । তবে এখনও এই বাড়িতে দুটো দুর্গা পুজো হয়। প্রথমে কুলদেবতা মা দুর্গা তারপর মাটির তৈরি মা দুর্গা।

 

আর ও  পড়ুন    বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পাখি! যা একসময় মানুষের পোষ্য ছিল

 

এখনও সমস্ত প্রথা মেনে হয়ে আসছে রায় বাড়ির পুজো। বংশপরস্পরায় যেমন এই পুজো হয়ে আসছে তেমনি পুজোর পুরোহিতও বংশপরস্পরায় এই পুজো করে আসছেন। কুল দেবতা থাকার জন্য এই পুজোয় নেই বলি দেওয়ার প্রথা।সপ্তমীতে কলা বৌ নিয়ে ঘট ভরতে যাওয়ার রেওয়াজ আছে পুনরভবা নদীতে। দেশ ভাগের পরে পুনর্ভবা নদী পরে যায় কাঁটাতারের ওপারে।বিএসএফ এর অনুমতি নিয়ে প্রথা অনুযায়ী রায় বাড়ির সদস্যরা ঘট ভরতে যান পুনর্ভবা নদীতে।

 

ঘট ভরার সময় পাঁচ রাউন্ড গুলি ফায়ার করা হয়। সপ্তমীর দিনেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সদস্যরাও চলে আসেন এই বাড়িতে। অষ্টমী ও নবমীতে নিমন্ত্রন করে গ্রামের প্রত্যেককে পাত পেরে খাওয়ানো হয়।আর দশমীতে দুপুরে আদিবাসীদের খাওয়ানোর পাশাপাশি আদিবাসী নৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। পুজো উপলক্ষে মেলাও বসে দশমীতে।পূর্বে মা দুর্গার বিসর্জন হতো পুনর্ভবা নদীতে।

 

কিন্তু এতোজন নিয়ে কাঁটা তারের ওপারে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যাবেনা বলে বাড়ির পাশের রায় বাড়ির পুকুরেই মাকে বিষর্জন দেওয়া হয়। নাই বা থাকলো জমিদারি, গৌরব ও ঐতিহ্য তো আছে ! জমিদার বাড়ির এই পুজোকে নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে থাকা উন্মাদনা এখনও অব্যাহত।

 

উল্লেখ্য, পুজোর আর কয়েকটা দিন মাত্র বাঁকি। রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গেছে পুজোর প্রস্তুতি।  পুজোর ব্যাস্ততা শুরু হয়েছে বাংলার জমিদার বাড়িগুলির পুজোরও।  এই রকমই এক জমিদার বাড়ি হল মালদার রায় বাড়ি। বর্তমানে মালদা জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রায় বাড়ির্ব জমিদারি এখন আর নেই। নেই জমিদারির সেই জৌলুসও। তবে বংশপরস্পরায় এখনও নিষ্ঠার সাথে দুর্গা পুজ হয়ে আসছে রায় বাড়িতে। মালদার হবিবপুর ব্লকের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা তিলাসন। আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামের জমিদার রায় বাড়ির দুর্গাপুজো ২২১ বছরে পদার্পণ করলো। এই বাড়িতে দুটো দুর্গা পুজো হয়।প্রথমে কুলদেবতা মা দুর্গা তারপর মাটির তৈরী মা দুর্গা। সালটা ১৮০০।

 

 

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top