এখন থেকে বলবৎ করতে হবে সুস্থ থাকার প্রণালী। আবারও করোনার চোখ রাঙানি আর সেই কারণে আশঙ্কায় ভুগছেন আপামর বিশ্ববাসী। ফের নিশানায় চীন, আসলে বছর দুয়েক আগের ঘটনা মানুষকে বড় অসহায় করে দিয়েছিল। তেমন পরিস্থিতি ফের হবে না তো লক্ষ টাকার প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে ।তবে এখনই দৃঢ় পদক্ষেপ না নিলে বড় মাসুল গুনতে হবে বিশ্ব তথা ভারতকে তা বলার অবকাশ নেই। জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সকলেই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলির সাথে বৈঠক করেছেন। তবে সাধারণ মানুষ যদি এই মুহূর্তেই সচেতন না হন তাহলে বড়োসড়ো বিপদের মুখে পড়তে হবে।
স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে লকডাউন এর কথা। কেউ আগ বাড়িয়ে মুখ খুলতে না পারলেও অনেকেই আশঙ্কায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারকে ফের লকডাউনের পথে হাটতে হবে নাতো। যদিও আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে এখনই লকডাউন নিয়ে হয়তো ভাবনা চিন্তা হচ্ছে না, কিন্তু ভারতবাসী যদি এখনই সচেতন না হন তাহলে বৃহত্তর স্বার্থে সেই পথেও চলতে হতে পারে সরকারকে। তাই অপ্রয়োজনীয় ভিড় এড়ানো, অপ্রয়োজনীয় অনুষ্ঠান বাতিল এবং সর্বোপরি সাবধানতা নিতেই হবে এখন থেকে।
সম্প্রতি ভারতীয় ও চীনা সেনার সংঘর্ষে বিপদের মেঘ জমে ছিল, আশঙ্কায় দোদুল্যমান ছিল গোটা বিশ্ব কারণ যদি এই দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয় স্বাভাবিক। কিন্তু এ যে সেনা লড়াই নয়, এই সীমান্তে লড়াইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না তা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গেল।২০২০ সালের করোন সৃষ্টিকর্তা চীন ফের একবার মহামারী ছড়াবার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। ওই দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বতোভাবে দায়ী তা বলার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হবে না প্রশ্ন কিভাবে এড়ানো যাবে এই কঠিন সমস্যা, সবাই ভাবনায় মশগুল।
ভারত বর্ষ অবশ্য তৎপরতা দেখিয়েছে এই সময়, নজাল ড্রপকে অনুমোদন করে ভ্যাকসিনেশন নেবার মানুষের সংখ্যা নিশ্চিতভাবে বাড়িয়েছে। অন্যদিকে বিদেশ আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার দিকেও নজরদারি চলছে।
করোনার এই নতুন ঢেউ প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা অবশ্য একটা বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন এবারের করোনার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বলা ভালো মৃত্যুর হার বিগত গুলোর থেকে কম হবে। বিপদের কথা, এবারের করোনা ভাইরাস অনেক বেশি সংক্রমণ করতে সক্ষম যার ফলে অনেকেই আক্রান্ত হয়ে পড়বেন সংস্পর্শে এলে ভাবনা এখন থেকে ছেয়ে গেছে। প্রস্তুতি চলছে, মুমূর্ষ রোগীদের সুস্থ রাখার বিষয়।অক্সিজেন এবং হাসপাতালের বেড কোনটাই যেন কম না হয় তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র রাজ্য দুই সরকারি।
তবে মানুষের বদলে যাওয়া অভ্যাস ফের কার্যকর করতে হবে। কারণ সংক্রমণ রুখতে সংস্পর্শ এড়ানো সম্ভবপর নয়, বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষকে পথে বেরোতেই হবে। তাই এখন থেকে মাক্স, সেনিটার ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে। আমাদের দেশে আমাদের রাজ্যে আর কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কিনা সেই খবর পাওয়ার পর সাবধানতা অবলম্বন করতে গেলে অনেক দেরি হয়ে যাবে তাই নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষার্থে এখন থেকে বলবৎ করতে হবে সুস্থ থাকার প্রণালী।



















