এটিকে মোহনবাগান থেকে সরছেন সৌরভ, কেন? আইএসএল শুরুর আগেই এটিকে মোহনবাগান থেকে সরতে চলেছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্বার্থের সংঘাত এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জন্মলগ্ন থেকে কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজি আতলেতিকো দে কলকাতার (এটিকে) মুখ ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আরপিজি গোষ্ঠীর কেনা এই দলের বিজ্ঞাপনী মুখ তো বটেই, তার সঙ্গে বোর্ডেরও গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন সৌরভ। পরে যখন মোহনবাগান ক্লাবের অন্তর্ভুক্তি হয়, তার পরেও সৌরভ স্বমহিমায় ছিলেন। কিন্তু এ বার সেই ভূমিকায় ইতি টানছেন মহারাজ। শোনা যাচ্ছে স্বার্থের সংঘাতের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সৌরভ।
সম্প্রতি আই পি এল নিলামে আরও দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি যুক্ত হয়েছে। একটি আমদাবাদ, অন্যটি লখনউ। আর পি জি গোষ্ঠী লখনউ দলের সত্ব কিনেছে। আই পি এল খেলার যাবতীয় নিয়মনীতি এবং দেখাশোনা দায়িত্ব বর্তায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপর। আর এখান থেকেই স্বার্থের সংঘাত শুরু হচ্ছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট । বোর্ড কর্তা হয়েছে আই পি এল দল কেনা কোনও সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টর পদে থাকলে তা নীতি বিরুদ্ধ হয়। সে ক্ষেত্রে খেলার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
তাই বোর্ড পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ভাবছেন সৌরভ। তিনি দলের পদ ছেড়ে দেওয়ায় এটিকে মোহনবাগানের সমর্থকদের উপর তার কোনও প্রভাব পড়বে কি না সেটাই দেখার। এটাও দেখার যে, সৌরভের অনুপস্থিতিতে ক্লাবের ‘ব্র্যান্ড ইকুইটি’ কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কি না। সিরিয়াস ক্রিকেট খেলা শুরুর আগে ফুটবলেই বেশি উৎসাহিত ছিলেন সৌরভ। বার বার জানিয়েছেন, তাঁর প্রথম প্রেম ফুটবল। তাই আইএসএল-এ আরপিএসজি গোষ্ঠী দল কেনার পরে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই এটিকে মোহনবাগানের বোর্ড অব ডিরেক্টরের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন সৌরভ। আইএসএল বা ইন্ডিয়ান সুপার লিগ শুরুর লগ্ন থেকে এটিকে-র সঙ্গে যুক্ত সৌরভ। ২০২০ সালে মোহনবাগানের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পরে তৈরি হয় ‘এটিকে মোহনবাগান’। সেই দলের পদ থেকে এ বার সরে দাঁড়ানোর পথে তিনি।
আর ও পড়ুন অবশেষে জামিন পেলেন শাহরুখ-পুত্র
স্বার্থের সঙ্ঘাত ফুটবল এবং ক্রিকেটে। এটিকে মোহনবাগানের মালিক আরপিএসজি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা সম্প্রতি আইপিএলে লখনউয়ের দল কিনেছেন। অন্য দিকে সৌরভ এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। তাই সৌরভের পক্ষে সঞ্জীবেরই কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানে স্বার্থের সঙ্ঘাত তৈরি হওয়া। অর্থাৎ, যিনি বিসিসিআই সভাপতি, তাঁর অধীনেই আইপিএলে খেলবে সঞ্জীবের ফ্র্যাঞ্চাইজি। তাই এমন সিদ্ধান্তের ভাবনা।