মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসজেডিএর হাত ধরে ভোল পাল্টাতে চলেছে শিলিগুড়ি। তৈরি হবে বিশ্ববাংলা ‘( Biswabangla ) লোগো সহ আধুনিক পার্ক। উত্তরবঙ্গের পর্যটনকে ব্যবসাকে উত্সাহ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা ও দেশ বিদেশ থেকে উত্তরবঙ্গে আসা পর্যটকদের সস্তায় থাকার ব্যাবস্থা করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এর জন্য শিলিগুড়ির উপনগরি উত্তরায়নের পাশেই হিমাচল বিহারে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বিশাল গেস্ট হাউস নির্মাণ করছে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ।
চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী জানান নির্মাণ কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ। খুব শিগগিরই মুখ্যমন্ত্রীর ‘( Biswabangla ) হাতে এটি উদ্বোধন করা হবে। ৬ সেপ্টেবর উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কি সেদিনই উত্তরবঙ্গবাসী পাবে এই উপহার?
এসজেডিএর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন শিলিগুড়ির ল্যান্ডমার্ক তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে এসজেডিএর। শিলিগুড়ির কোনো ল্যান্ডমার্ক নেই, লোকে এখনও মহানন্দা সেতুকেই ল্যান্ডমার্ক ‘( Biswabangla ) করে চলেছেন। তিনি জানান শিলিগুড়ির পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দফতরের তিন কাঠা জমির উপর ল্যান্ডমার্ক তৈরি করতে বনানো হবে ”বিশ্ববাংলা” লোগো।
মুর্তি ও ফোয়ারার মাঝে ”আই লাভ শিলিগুড়ি” লেখা সুন্দর একটি ছোট্ট আধুনিক পার্ক। সেখানে থাকবে বসার জায়গা ও ফাস্ট ফুড কর্নার। সন্ধে বেলায় ওখানে জমিয়া আড্ডা ও সময় কাটানোর আদর্শ জায়গা তৈরি করা হবে। কাওয়াখালিতে তৈরি হবে এসজেডিএর নিজস্ব ভবন।
আর ও পড়ুন জনসমক্ষে পোশাক ( Dress ) খুলে যাওয়ায় বিব্রত মৌনী
এর জন্য এক কোটি টাকার একটি প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে ওখানকার এজেন্সির সাহায্যে শিলিগুড়ির যানজট সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানান এসজেডিএর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজে অগ্রগতি আনা হচ্ছে, দ্রুত গতিতে আগে শেষ করা হবে অর্ধসমাপ্ত কাজগুলি।
তিনি জানান ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার গঠনের পর মুখ্যমন্ত্রী সর্বপ্রথম উত্তরবঙ্গের পর্যটনকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেন। তাঁর নেতৃত্বে ঝা চকচকে হয়েছে উত্তরবঙ্গের রাস্তাঘাট।
যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতির জন্য উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় তৈরি করা হয়েছে বেশ কয়েকখানা ব্রিজ। এসজেডিএর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী ১ সেপ্টেম্বর থেকেই জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি, জল্পেশ ও লাটাগুড়ির পর্যটনের উন্নয়নে চলা নির্মাণ কাজ গুলো পর্যবেক্ষণ শুরু করেছেন তিনি।
বুধবার জল্পেশ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর গেস্টহাউসে এসজেডিএর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। জল্পেশ মন্দির ঘিরে পর্যটনের উন্নতি সাধন করে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থিক উন্নয়নের জন্য তৈরি হচ্ছে আধুনিক বাজার ও একটি কমিউনিটি হল। লাটাগুড়িতে তৈরি হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় পর্যটনকেন্দ্র, সঙ্গে দিল্লীর অত্যাধুনিক হাটের আদলে একটি বিশাল আধুনিক হাট।
আগামী দিনে এই হাট হবে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার নাগরিকদের শিল্প কলা প্রদর্শনের উত্তম মঞ্চ। তিনি জানান লাটাগুড়িতে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ইকো পার্ক তৈরি করছে এসজেডিএ। লাটাগুড়ি হাট ও ইকো পার্কের কাজ দু বছর আগে দফতরের চেয়ারম্যান থাকাকালিন সৌরভ চক্রবর্তী শুরু করেছিলেন, আবার দফতরে ফিরে এসে অর্ধসমাপ্ত কাজ গুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দ্রুতগতিতে সম্পূর্ণ করার কাজ চলছে।
