এবার ধূপগুড়ির মিষ্টি আলু পাড়ি দেবে জাপান, জার্মনিতে। গ্রাম অঞ্চলের আনাচে-কানাচে হামেশাই পাওয়া যায় মিষ্টি আলু। চাষ ছাড়াও অবহেলায় পড়ে থাকে মিষ্টি আলু। সাধারণত মিষ্টি আলুর কদর করে না কেউ। কিন্তু এই মিষ্টি আলুতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ। পুষ্টিগুণেও ভরপুর।অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান থাকে বেগুনি রঙের মিষ্টি আলুতে তা ছাড়া অ্যান্থোক্যায়ানিন থাকে যা ব্লাডার ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার, গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার রোধ করে।
এই উপাদান যে কোনো ক্যানসারের কোষ মেরে ফেলে এবং ক্যানসারের ফলে কোষ নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলুতে যেহেতু ফাইবার থাকে, তাই এটি ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শুধু সুগার নিয়ন্ত্রণ নয়, ডায়াবেটিক রোগীদের কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা হওয়া আশঙ্কা থাকে। ফাইবার উপাদানটি সেই থেকেও মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন – ৪ দফা দাবী নিয়ে ডেপুটেশন অল ইন্ডিয়া খেতমজদুর সংগঠনের
এবার সেই মিষ্টি আলু পাড়ি দিতে চলেছে জাপান জার্মানিতে। বাংলাদেশের একটি কৃষিজ কোম্পানির উদ্যোগে ধুপগুড়িতে শুরু হতে চলেছে, মিষ্টি আলুর পাউডার বানানোর ফ্যাক্টরি। মূলত প্রথমে মিষ্টি আলু উৎপাদন করে সেখান থেকে পাউডার এবং চিপস তৈরি করা হবে। আর সেই পাউডার সরাসরি রপ্তানি করা হবে জাপান এবং জার্মানির কয়েকটি কোম্পানিতে।
বাংলাদেশের কোম্পানির এই উদ্যোগ ে ইতিমধ্যে চাষ শুরু হয়েছে কমলা এবং বেগুনি রংয়ের মিষ্টি আলুর। পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে ধুপগুড়ি ব্লকের পশ্চিম মাগুরমারিতে জোর কদমে চলছে ফ্যাক্টরি প্রস্তুতের কর্মসূচি। কৃষি দপ্তরের জলপাইগুড়ি সদর মহকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা মাহফুজ আহমেদ বলেন, ধুপগুড়ি সহ জেলার প্রতিটি ব্লকে কমলা এবং বেগুনি রংয়ের মিষ্টি আলু চাষ শুরু হবে। প্রথম ধাপে ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জমিতে চাষ করা হচ্ছে। এবার ধূপগুড়ির