২২ নভেম্বর, আমরা সকলেই জানি ইতিমধ্যে ফেসবুক ও টুইটার সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে নিজেদের কতটা প্রসারিত করেছে। দিনের পর দিন মানুষের কাছে তাদের চাহিদা বেরেই যাচ্ছে। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের এই একনায়কতন্ত্র কতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে উইকিপেডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলেস একটি নতুন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট লঞ্চ করেছেন, যার নাম WT-Social। গত মাসেই এটি লঞ্চ হয়। এই প্ল্যাটফর্মটি উপভোক্তাদের অর্থবহ বিষয়বস্তু প্রদান করে, যা ফেসবুক টুইটার প্ল্যাটফর্মগুলির বিকল্প হিসাবে কাজ করে। এর মধ্যেই এই প্ল্যাটফর্মটি উপভোক্তাদের কাছে খুবই প্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১ লাখ মানুষ এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করছেন।
উপভক্তরা এই সাইটে নিজের নাম নথিভুক্ত করে একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন ধরনের লিঙ্ক শেয়ার করতে পারবেন। ওয়েলেস বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া গুলি যত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে তত বেশি ফেক নিউজ ও অর্থহীন অযুক্তিকর বিষয়বস্তুতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মানুষ এগুলির প্রতি আকর্ষিত হচ্ছে কোনও যুক্তিকর বিষয়বস্তুর জন্য নয়, শুধুমাত্র বিনোদনের জন্যই। তার জেরে নিত্যদিন ঘটছে ক্রাইম। ফেক একাউন্ট এর ফাঁদে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু WT-Social কে সেইসমস্ত ভুল কার্যকারিতা থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন সেফটির ব্যবস্থা রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্ম তারাই ব্যবহার করতে পারবেন যারা অর্থপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। কোনও ফেক একাউন্ট এখানে তৈরী করতে পারা যাবে না।
ওয়েলেস এর এই ধারনাটি হঠাৎ করেই এসেছে বললে হয়তো ভূল হবে। দু-বছর আগে ‘উইকিট্রিবিউন’ নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট চালু করেছিলেন তিনি, যেখান থেকেই তাঁর এই ধারনা আসে, বলে জানান তিনি। এই সাইটটি ছিল একটি অনলাইন পাবলিকেশান, যেটা সাংবাদিকদের দ্বারা চালিত হত, এবং এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভুল সংবাদ ও ইয়েলো সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করা। যদিও তাঁর এই প্রচেষ্টা তেমন সফল হতে পারেনি। তবে তাঁর এই নতুন WT-Social পুরোপুরিভাবে বিজ্ঞাপনহীন হবে। এবার দেখার বিষয় উপভোক্তাদের কাছে এই নতুন প্ল্যাটফর্মটি কতটা প্রিয় হয়ে উঠতে পারে এবং ফেসবুক, টুইটারকে সরিয়ে এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় কতটা জায়গা করে নিতে পারে।