এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের পথে জেলার ৯ পর্বতারোহী। উত্তর দিনাজপুর জেলার ৯ পর্বতারোহী চলেছে পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের বেস ক্যাম্প ট্রেক ও মাউন্ট কালাপাথর অভিযানে। সোমবার সকালে সেই পর্বতারোহী দলটির হাতে তুলে দেওয়া হল জাতীয় পতাকা ও আয়োজক সংস্থা হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ার্স এন্ড ট্রেকার্স এসোসিয়েশনের পতাকা।
এদিনের এই ফ্ল্যাগ গিভেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত, সংগঠনের সভাপতি ড. পীযুষ দাস, সংগঠনের সম্পাদক অপর্ণা চক্রবর্তী সহ একাধিক পর্বতারোহী। সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, এই অভিযাত্রী দলটিতে টিম লিডার হিসেবে রয়েছেন তাপস জোয়ারদার, টেকনিক্যাল লিডার থাকছেন গৌরশঙ্কর মিত্র। এছাড়াও ম্যানেজার হিসেবে থাকছেন নারায়ন আগরওয়ালা, কোয়ার্টারে থাকবেন পার্থ পাল। অন্যান্য পর্বতারোহীরা হলেন কনক রঞ্জন সেন, পার্থ প্রতীম রায়, পার্থ প্রতীম মোদক, দেবাশীষ পাল ও চন্দ্র নারায়ণ সাহা। এদিন টিমের পক্ষে দলনেতা তাপস বাবু জানান, আমাদের মূল লক্ষ্য এভারেস্ট বেস ক্যাম্প।
কেইন শিপটন, তেনজিং নোরগে, এডমন্ড হিলারি, আংরিটা, নির্মল পুরজা ইত্যাদি অসংখ্য পর্বতারোহীর পদচিহ্ন ধরে আমরা যাবো পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গের একদম কাছাকাছি। যেখান থেকে মাথা উঁচু করে দেখতে পাবো এভারেস্ট, মাকালু, লোৎসে, আমা দাবলাম, পুমোরি ইত্যাদি জগৎখ্যাত শৃঙ্গগুলোকে।
আগামী ৫ই অক্টোবর মধ্যরাতে আমরা HMTA এর ৯ জন সদস্য রওনা দেব এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের পথে।সড়কপথে রায়গঞ্জ থেকে নেপালের বিরাটনগর। পরদিন বিরাটনগর বিমানবন্দর থেকে বিমানে কাঠমান্ডু।
সেখানেই পারমিট সংগ্রহ, টুকিটাকি কেনাকাটা সেরে রাত্রিযাপন। পরদিন সকালে কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে পাখির মতো ছোট্ট বিমানে চেপে পৃথিবীর ভয়ঙ্করতম বিমানবন্দর লুকলায়, যার প্রথাগত নাম তেনজিং-হিলারি এয়ারপোর্ট। এখান থেকে আমাদের হাঁটা শুরু হবে। এরপর ফাকডিং, নামচেবাজার, টেনবোচে, ডিনবোচে, লোবুচে হয়ে গোরকশেপ পৌঁছাবো ১৪ ই অক্টোবর। সেদিন বিকেলেই আমরা পৌছাবো এই পথের সর্বোচ্চ উচ্চতায়, কালাপাথথর টপে(১৮৬২৫ ফুট)।
এভারেস্টের উপর পড়ন্ত সূর্যের রঙের খেলা দেখে নেমে আসবো গোরকশেপে।রাত্রিযাপন সেখানেই। পরদিন ১৫ ই অক্টোবর সকালে আমরা যাবো আমাদের ঈপ্সিত লক্ষ্য এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে। সেই বিখ্যাত শৃঙ্গ, কুখ্যাত খুম্বু গ্লেসিয়ার আর রংবেরঙের ক্যাম্পগুলোতে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা নামতে শুরু করবো।সেখান থেকে ১৭ তারিখ লুকলা, ১৮ তে কাঠমান্ডু এবং ১৯ তারিখ বিকালে নিজেদের ঘরে ফেরা। এদিনের ফ্ল্যাগ গিভেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, এমন ছোট শহর থেকে যেভাবে হিমতা একের পর এক পর্বতাভিযান সংঘটিত করছে, তাতে তাদের অভিনন্দন জানাই। আশা করছি, অভিযাত্রীদল সুস্থ ভাবে ফিরে আসবে।