দেশ – করোনা ভাইরাস (COVID-19) ফের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও হংকংয়ে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা হঠাৎ করে দ্রুত বেড়ে চলেছে। হাসপাতালগুলিতে রোগী ভর্তির হারও আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।গত সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে ২৫,৯০০টি নতুন কেস রিপোর্ট হয়েছে এবং হাসপাতাল ভর্তির হার ৩০% বেড়েছে। সরকার উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে এবং নাগরিকদের দ্রুত বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওং ইয়ে কুং জানান, সময়ের সাথে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় টিকাকরণ আবারও অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।থাইল্যান্ডে একই সময়ে ৩৩,০৩০টি নতুন কেস শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে রাজধানী ব্যাংককেই ৬,০০০-এর বেশি সংক্রমণ। সোংক্রান উৎসবের সময় ভিড় ও চলাচলের কারণে সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।হংকংয়ে পজিটিভিটি হার ১.৭% থেকে বেড়ে হয়েছে ১১.৪%। গত এক সপ্তাহে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বয়স্ক। স্বাস্থ্য দপ্তরের মতে, ভাইরাস এখন স্থানীয় রোগের মতো আচরণ করছে এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্ট LF.7, NB.1.8 ও XEC এর দ্রুত সংক্রমণক্ষমতাই এই নতুন ঢেউয়ের অন্যতম কারণ। এই ভ্যারিয়েন্টগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম, ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।ভারতে এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, ভবিষ্যৎ ঝুঁকি এড়াতে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও টিকাকরণে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং ঋতু পরিবর্তনকেও সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
