খেলা – এশিয়া কাপের সুপার ফোরে আজ মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশ। যে দল জিতবে, তারাই কার্যত ফাইনালে পৌঁছে যাবে। ধারাভারে ভারত অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে সূর্যকুমারের নেতৃত্বে। তবে বাংলাদেশ দলও কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই; তাদের তরফ থেকে তর্জন গর্জনের অভাব নেই। অতীত পরিসংখ্যান অবশ্য ভারতের পক্ষেই কথা বলছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বনাম ভারত ১৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ভারত। এর মধ্যে ১৬টি ম্যাচ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। শেষবার দুই দল টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল গত বছর হায়দরাবাদে। সেই ম্যাচে সঞ্জু স্যামসনের দাপটের কারণে ভারত ১৩৩ রানে জয় পায়। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাট মিলিয়ে এশিয়া কাপে ভারত-বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার সংখ্যা ১৫টি, যেখানে ভারত জিতেছে ১৩টি এবং বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র দুটি।
বাংলাদেশের জন্য একমাত্র আশার আলো হতে পারে গতবারের এশিয়া কাপের ফলাফল। ২০২৩ সালের ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপের ম্যাচে রোহিত শর্মা মাত্র ৬ রানে আউট হয়েছিলেন। সেই ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন শাকিব আল হাসান। যদিও ভারত ইতিমধ্যেই ফাইনালে পৌঁছেছিল। ২০১৮ সালে দুই দল দু’বার মুখোমুখি হয়, প্রথমটি ৩ উইকেট এবং দ্বিতীয়টি ৭ উইকেটে ভারত জিতেছিল। ২০১৬ সালের প্রথম মোকাবিলায় ভারত জেতা মাত্র ৪৫ রানে, আর দ্বিতীয়টি ৮ উইকেটে।
তবুও বাংলাদেশ এই পরিসংখ্যানের চাপে পড়ে ভাবছে না। সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই মাথা ঠান্ডা রাখতে চেয়েছি। বেশি কিছু ভাবতে চাই না। আমাদের শরীরী ভাষাও সেরকম রাখতে চাই। আমরা শুধু ঠান্ডা মাথায় ক্রিকেট খেলতে চাই। প্রতিপক্ষ ভারত হোক বা অস্ট্রেলিয়া, আমাদের মাথাব্যথা নয়।” তবে গিল-অভিষেকের মতো শক্তিশালী জুটির সামনে তাদের ফলাফল কেমন হবে, সেটা সময়ই বলবে।
