উত্তর 24 পরগণা – বনগাঁর জনসভা থেকে তীব্র সুরে কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, এসআইআরের নামে এনআরসি করার চক্রান্ত চলছে এবং নির্বাচন কমিশন বিজেপির নির্দেশে চলছে। বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করাই কেন্দ্রের একমাত্র লক্ষ্য, এমনই দাবি তৃণমূল সুপ্রিমোর।
মমতার বক্তব্য, সাধারণত এসআইআর করতে তিন বছর সময় লাগে, অথচ কমিশন দুই মাসে তা শেষ করতে চাইছে। তিনি স্পষ্ট জানান, কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়লে তৃণমূল তা বরদাস্ত করবে না। আধার নিয়ে কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আক্রমণ, ব্যাঙ্ক বা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আধার লাগবে না, কিন্তু এসআইআরে আধার বাধ্যতামূলক—এই বৈপরীত্য কেন?
বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেও সতর্কবার্তা দেন মমতা। তিনি বলেন, জীবিত বাঘের চেয়ে আহত বাঘ বেশি ভয়ঙ্কর, তাই বাংলাকে আঘাত করা হলে প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সরাসরি আক্রমণ করে মমতা অভিযোগ করেন, কেন্দ্র মিশ্র বার্তা দিচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, একদিকে বলা হচ্ছে ২০২৪-এর আগে যারা এসেছে তাদের তাড়ানো হবে না, আবার কমিশন ২০০২ সালের তালিকা মানতে বলছে—দুটি তথ্যের মধ্যে কোনটি সত্য? অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, সীমান্ত, বিমানবন্দর, পাসপোর্ট-কাস্টমস—সবই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে, তাহলে বাংলাকে কেন দায়ী করা হচ্ছে?
মমতার দাবি, মোদি সরকার বাংলা-বিদ্বেষী এবং রাজ্যকে বারবার কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। তিনি জানতে চান, যদি অনুপ্রবেশ রুখতেই এসআইআর হয়, তাহলে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে এটি চালু করা হচ্ছে না কেন? চার রাজ্যে একসঙ্গে নির্বাচন হলেও বাংলায় আলাদাভাবে এসআইআর—এর যুক্তিই বা কী? তাঁর অভিযোগ, বাংলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে, বাঙালি ও বাংলাকে স্তব্ধ করতে বিজেপি মরিয়া। তাঁর কথায়, বাংলাকে পছন্দ নয় বলেই রাজ্যকে নিশানা করা হচ্ছে।




















