এসআইআর বড় ঝামেলা, জন্ম শংসাপত্রের জন্য কলকাতায় মানুষের ঢল

এসআইআর বড় ঝামেলা, জন্ম শংসাপত্রের জন্য কলকাতায় মানুষের ঢল

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram


কলকাতা – এসআইআর-এর কারণে জন্ম শংসাপত্রের দাপট কলকাতার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই শংসাপত্র নিতে কলকাতা ছাড়াও ভিন জেলা এবং ভিন রাজ্যের মানুষরা কলকাতা পুরসভায় হাজির হচ্ছেন। যাদের জন্ম শংসাপত্র নেই বা হারিয়ে গেছে, তাদের প্রতিলিপি কপি দেওয়া হচ্ছে। গত সাত দিনের বেশি সময় ধরে এই কাজ চলছে এবং প্রতিদিন বহু মানুষ কলকাতা পুরসভার সামনে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন।

গতকাল, বুধবার, এই লাইন সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। পুরসভার থেকে বের হয়ে লাগোয়া রক্সি সিনেমা পর্যন্ত লাইন সাপের মতো এঁকেবেঁকেই চলে গিয়েছিল। পুরসভার সূত্রে জানা গেছে, এই পরিস্থিতি নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম উদ্বিগ্ন। তিনি বলেছেন, “মানুষ আতঙ্কিত। তবে অবস্থা সামাল দিতে দৈনিক প্রতিলিপি কপির সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করুক।” বর্তমানে পুরস্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিদিন গড়ে ১৫০টি বার্থ সার্টিফিকেট দিচ্ছে এবং এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

পুরস্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র কলকাতার নয়, ভিন জেলা ও ভিন রাজ্য থেকেও মানুষ আসছেন। অনেকে জন্মেছেন শহরের বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে। কাজের সুবাদে কেউ বেঙ্গালুরু, কেউ হায়দরাবাদ বা অন্য রাজ্যে রয়েছেন। হাসপাতালের নথি থাকলেও অনেকের কাছে পুরসভার জলছবি দেওয়া জন্ম শংসাপত্র নেই। এছাড়া, ভিন জেলার থানাও পুলিশ গোছা করে জন্ম শংসাপত্র পাঠাচ্ছে যাচাইয়ের জন্য। এ সব প্রয়োজন মূলত পাসপোর্ট বা ভিসার কাজে।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, হাতে লেখা বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। সব শংসাপত্র কম্পিউটারে জলছবি দেওয়া এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের স্বাক্ষরযুক্ত হবে। পুরস্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা বলেন, “করোনা আবহে চ্যাটবটের মাধ্যমে জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র দেওয়া শুরু হয়। এখনও সেই পদ্ধতি চলছে। মাঝে মাঝে কম্পিউটার হ্যাং করছে, কাজের গতি কমছে এবং মানুষ অভিযোগ করছে।” সব বিষয় মেয়র হাকিমের গোচরে আনা হয়েছে এবং তিনি প্রতিলিপি বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়ার সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top