এস এস সি তে কে দিলিপ ঘোষ? নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি দলিল উদ্ধার করেছে সিবিআই। তাতে দিলীপকুমার ঘোষ নামে এক ব্যক্তির নাম রয়েছে। কে এই দিলীপ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে, প্রসন্নর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া দলিলে যে দিলীপের নাম রয়েছে, তিনিই বিজেপি নেতা দিলিপ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সংবাদমাধ্যমে সেই সম্ভাবনা পুরোপুরি খারিজ করে দেননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিও। তিনি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে শুক্রবার জানান, প্রসন্নকে তিনি চেনেন। বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজের জন্য তিনি দলিলটি প্রসন্নকে দিয়েছিলেন। গ্রেফতার হওয়া প্রসন্নর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই যে সিজার লিস্ট তৈরি করেছে, তার ৮ নম্বরে রয়েছে দলিলের উল্লেখ।
৬০ পাতার ওই সম্পত্তির দলিল নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে সিবিআই। গোয়েন্দারা দলিল ঘেঁটে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন, এস মজুমদার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দিলীপকুমার ঘোষের জমিজমা সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছিল।গত ২৬ অগাস্ট নিউ টাউন থেকে সিবিআই গ্রেফতার করে প্রসন্নকুমার রায়কে। একসময়ে তিনি রং মিস্ত্রি ছিলেন। সেই প্রসন্নর ভাগ্য কী ভাবে ‘প্রসন্ন’ হয়েছিল তা দেখছে এজেন্সি। ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন’র বিলাসবহুল বাড়ি দেখে সন্দেহ হয় সিবিআই গোয়েন্দাদাদের।
আরও পড়ুন – ত্রিকোণ প্রেমের পরিনীতিতেই কি গৃহবধূর মৃত্যু, আতঙ্কিত শহরবাসী
পরবর্তীকালে তাঁর সম্পত্তির তালিকায় জমি, ফ্ল্যাট, বিলাসবহুল রিসর্ট, মাছের ভেড়ির হদিশ পায়। একসময়ে নারকেলডাঙায় টালির চালের বাড়ি ছিল প্রসন্নর। নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা প্রসন্নর উত্থান কী ভাবে হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। অভিযোগ, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয়ের পরই ভাগ্য খোলে তাঁর। ৭-৮ বছরের মধ্যেই কার্যত ধনকুবের হয়ে ওঠেন প্রসন্ন। যাকে বলে ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’। তাই হয়েছিল প্রসন্নর। এস এস সি তে