
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২২ জানুয়ারি, মানবিক হতে গিয়ে অত্যাচারিতা হয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু চাওয়া। এ এক করুণ আলেখ্য যেখানে মানবিকতাকে পরাজিত করে যেন সামনে এসে দাড়িয়ে আছে নির্মম অমানবিকতা যার ফলশ্রুতি অসহায় এক মহিলার স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন। কুকুরকে সন্তান স্নেহে পালন করার মাশুল হিসেবে বেছে নিতে হচ্ছে স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ।ঘটনার পটভূমি বারাসতের ন পাড়া পোদ্দার গলির। কর্মস্থলে থাকা দাদার অনুপস্থিতির কারণে পশু প্রীতি তথা কুকুর কে লালন-পালন করার জন্য মহিলা অসহায়। প্রতিবেশীদের মানসিক ও কার্যত শারীরিক অত্যাচারের সামনে পড়ে চূড়ান্ত ভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বছর ৪৫-য়ের ইন্দ্রানী ভৌমিক। জেলা শাসকের কাছে মঙ্গলবারই তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন।
ইন্দ্রানী ভৌমিক বলেন, তিনি বারোটি কুকুরকে স্নেহে নিজ গৃহে প্রতিপালন করেন। কুকুর মাঝেমধ্যেই চিৎকার করে। আর সেই অছিলা দেখিয়ে প্রতিবেশী শ্রীদাম দে ও কিছু প্রতিবেশী তাকে মানসিক অত্যাচার করছেন। তাদের দাবী কুকুরদের তাড়াতে হবে। নাহলে তাকে ভিটেমাটি থেকে উৎখাত করা হবে। কুকুর দের না তাড়াতে চাওয়ায় তাকে উৎখাতের যে চেষ্টা চলছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশকে জানিয়েও ফল মেলেনি। সাথে স্থানীয় বাম কাউন্সিলর রত্না ভট্টাচার্য্য ও প্রতিবেশীদের সুরে সুর মিলিয়ে তাকে চাপ দিচ্ছেন বলে তার অভিযোগ।



















