
নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তর ২৪ পরগনা, ১৬ ই জানুয়ারী : ওদের ও একদিন ছিল নিজের ঘরবাড়ি । একদিন ওদের অনেকেই মায়ের হাতে তৈরি করা পিঠের স্বাদ পেয়েছিল । আজ তারা ঘর থেকে দূরে । কেউ পথ ভুলে হারিয়ে , কেউ ছোটো ভুলের মাশুল দিয়ে , কেউ বা বড়দের সাথে দেশের ভৌগোলিক সীমারেখা অতিক্রম করে । কোনো উৎসব ওদের সেভাবে স্পর্শ করে না । অথচ স্নেহের পরশ পাওয়ার ওরা প্রত্যাশী । কিশলয় হোমের ঘর ছাড়া , অনাথ , দুঃস্থ শিশুরা শিশু উন্নয়নের আওতায় থাকলেও ঘরের ছোঁয়া পায় না । উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতে কিশলয় আবাসিক হোমের অনাথ দুঃস্থ শিশুদের জীবনে এবছর এক ঝলক আলো আর টাটকা মুক্ত বাতাস নিয়ে এল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । প্রতিটি খুদে আবাসিক পিঠে পুলির স্বাদ নিল , যেন স্বাদ পেল ঘরোয়া জীবনের ।

পোংগোল , বিহু বা উত্তরায়ণ যেমন সারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে উৎসবমুখর একটি দিন, ঠিক সেভাবেই পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তির দিনটি বাঙ্গালীর জীবনে উৎসবের মোড়কে ঘেরা । ঘরে ঘরে এদিন পুণ্যলগ্নে পিঠে পুলির আয়োজন । ঘরে ঘরে পাটিসাপটা , চিতই পিঠে , ভাপা পিঠে বা আসকে পিঠের আয়োজন যখন চলছে , শহরের দোকানে রাশি রাশি পিঠে থরে থরে সাজানো তখন কার্যত গৃহে পরবাসী হয়ে থাকা দুঃস্থ ঘরছাড়া শিশুদের মনের কোণে উঁকি দিয়ে যায় পৌষ পাবণের উৎসব যা তারা হারিয়ে এসেছে । তাই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভরসা দিয়ে গেল ভরসা -ছোটো হাত গুলিতে পিঠে তুলে দিয়ে ।এই উৎসবে আবাসিকদের সাথে একাত্ম হয়ে মানবিক বার্তা বয়ে নিয়ে এলেন উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী । উপস্থিত ছিলেন আবাসিক হোমের সুপার ছাড়াও কিছু বিদগ্ধ গুণীজন । ছিলেন তৃণমূল নেতা ও বারাসাত পৌরসভার পুরপ্রধান সুনীল মুখার্জী । রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা রাজনৈতিক কচকচির মধ্যে না ঢুকতে চেয়ে ফুটিয়ে তুললেন মানবিক আবেদনের তুলির ছোঁয়া যার স্পর্শে একদিনের জন্য হলেও জীবনকে ঘরোয়া ভাবে খুঁজে পেল কিশলয় হোমের ঘরছাড়া ১২০ জন আবাসিক । পুণ্যলগ্নের পুণ্যছোঁয়া পেয়ে পূর্ণ হল অনাথ ও দুঃস্থ জীবন । ॥ ॥
বাইট 1নারায়ণ গোস্বামী ,জেলা পরিষদ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ২ সুনীল মুখার্জী বারাসত পৌরসভার চেয়ারম্যান , ৩ কিশলয় হোমের সুপার ও ৪ জনৈক আবাসিক ।



















