সম্প্রতি চুঁচুড়ায় পাওয়া গেল ওলন্দাজদের সমাধিক্ষেত্র। বর্তমানে এই সমাধিক্ষেত্রটি আর্কিওলোজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আওতাধীন। প্রসঙ্গত,একসময়ের ওলন্দাজদের উপনিবেশ হওয়ায় বেশ কিছু ওলন্দাজদের নিদর্শন আজও এখানে বর্তমান।এএসআইয়ের পক্ষ থেকে সমাধি ক্ষেত্রটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সমাধিস্থল বলে ঘোষণা করার পর থেকেই সংরক্ষণের কাজও শুরু হয়েছে।গোরস্থানটি সংরক্ষণের কাজ জোর কদমে চললেও মাঝ পথে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া টিমকে বিশেষ এক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
গোরস্থানটি অত্যন্ত পুরাতন হওয়ায় বেশ কিছু সমাধির ওপর খোদাই করা নাম পরিচয় অস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।জানা গিয়েছে, এই গোরস্থানে মোট ২০৮ টি সমাধি ছিল।পুনরুদ্ধার করা হয়েছে ১৯০ টির মত সমাধি। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা এই স্থানে প্রতিটি সমাধির ওপর একটি করে শীলালিপি ছিল।এই শিলালিপি গুলির সাথে যার মধ্যে লেখা থাকতো এই সমাধিটি কার, কবে তিনি মারা গেছেন, তিনি কি করতেন, এছাড়াও আরও অনেক তথ্য। কিন্তু সমস্যা হলো সব কটি সমাধির ফলকগুলোর লেখা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছেনা।
আর ও পড়ুন সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে দাদার হাতে খুন ভাই
এটাই হলো গোরস্থানের মূল গন্ডগোল। বিষয়টি নিয়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,” ৩০০ বছরেরও বেশি পুরনো এই ডাচ সমাধিক্ষেত্রটি। দীর্ঘকাল যাবত এই গোরস্থানের সমাধিগুলো অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। সমাধির ওপর যে শিলালিপিগুলো ছিল সেগুলির লেখা একদমই অস্পষ্ট হয়ে গেছে। কেমিক্যাল অ্যানালিসিস দিয়ে ওই ফলকগুলোর লেখাকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। বেশ কিছু উদ্ধার সম্ভব হলেও অনেকগুলো সমাধির ফলক উদ্ধার সম্ভব হয়নি। ” যদিও এ এস আই এই কাজে প্রাণ পন চেষ্টা চালাচ্ছে।