কবীর, মাফুজার দুই জুটি কদম্বগাছি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রের এখন শক্ত খুটি! বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত ১নং ব্লকের ৯টি অঞ্চলের মধ্যে কদম্বগাছি অঞ্চল অন্যান্য। প্রতিটা গ্রাম পঞ্চায়েতের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা কদম্বগাছি পঞ্চায়েত । সরকারি প্রকল্পের সমস্ত রকম উন্নয়নমূলক কাজে এই কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত নজির সৃষ্টি করেছে।
সবকিছুর সম্ভব হয়েছে উন্নয়নের পথে ১১ বছর তৃণমূল সরকার তাই। সকলের কন্ঠে একই সুর “এগিয়ে বাংলা”। গোটা অঞ্চলে শাসক-বিরোধীর তেমন কনো তরজা না থাকলেও তৃণমূল তৃণমূলের বিরোধীতার এটা ছবি বারবার প্রমাণিত হয়েছে কদম্বগাছি এলাকার মানুষের কাছে। কদম্বগাছি অঞ্চলের অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের আজীবন সভাপতি ছিলেন প্রায়াত: আব্দুল মাতিন সাহেব। তার মৃত্যুর পর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পদ শূন্য পড়ে থাকায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছিলো কদম্বগাছি অঞ্চল।
স্থানীয় সেই নেতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ করা সম্ভব হতো না বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের । তার কিছু কিছু কাজ যা মানুষের কাছে ছিলো অ-গ্রহণযোগ্য বলে অভিযোগ। তার এই বেপরোয়া রাজনৈতিক প্রভাব রুখতে তার অহংকার, অহমিকা,ও দম্বিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন কদম্বগাছি অঞ্চলের এক অংশ মানুষ। তিনি যেটা ভাবতেন সেটাই করতেন যেটা বলতেন সেটাই শুনতে হতো সকলকে এটাই ছিলো কদম্বগাছির তৃনমুলের রাজনিতি।
তার এই বেপরোয়া ঔদ্ধত্য দীর্ঘদিন ধরে মানতে চাইছিল না গোটা কদম্বগাছি অঞ্চলের মানুষ। ভিতরে ভিতরে ক্ষোভে ফুঁসছিলো তারা। তার পর কদম্বগাছি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির শূন্য পদ পূরণ করতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এবং বারাসাত সাংসদ ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তি দারের পূর্ন সহযোগিতায় তৃণমূল কংগ্রেস কদম্বগাছি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পদে দায়িত্ব ভার তুলেদেন কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমুলের সদস্য নিজামুল কবীরের হাতে ।
পাশা পাশি আরও যারা সহযোগিতা করেছিলেন তারা হলেন হাড়োয়ার বিধায়োক হাজী নূরুল ইসলাম,আমডাঙ্গার বিধায়ক রফিকার রহমান, দেগঙ্গার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক শাহাজি (মিন্টু) বারাসাত পৌরসভার চেয়ার ম্যান অশ্বিনী মুখার্জি,বারাসাত ১ নং ব্লক তৃনমুল সভাপতি রবিউল ইসলাম এছাড়াও বারাসাত ১ নং ব্লক স্তরের অগণিত নেতাও কর্মী সর্মথকরা। তারপর নিজামুল কবীর অঞ্চল সভাপতি পদ পাওয়ায় এলাকার মানুষ অত্যন্ত খুশি ।
ন্যায় ন্যায্য ও স্বচ্ছতার নিরিখে অঞ্চল সভাপতি নিজামুল কবীর বর্তমান গোটা কদম্বগাছি অঞ্চলের মানুষের এখন শিরোমণি। ন্যায়বিচার ন্যায্য অধিকার ও সবকিছুতে স্বচ্ছতা যা তৃণমূল কংগ্রেসের নীতি-আদর্শের মধ্যে পড়ে। পাশাপাশি আর এক সভাপতি নিজামুল কবীরের অন্যতম জুটি মাফুজার রহমান তিনি বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনার সংসদীয় জেলার তুনমূল কিষান ক্ষেত মজদুর কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন।
কদম্বগাছির রাজনিতিতে ল্যাজে গোবরে হওয়া তৃনমুলকে নতুন করে চাঙ্গা করতে এই দুই সভাপতির অক্লান্ত পরিশ্রম যা একালার সাধারন মানুষের সুখদুঃখের সাথী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে করে দুই জুটির প্রতি অত্যান্ত খুশি এলাকার মানুষ । দুইজুটি অনন্ত প্রহরীর ন্যায় গোটা কদম্বগাছি অঞ্চলকে চোখে চোখে রেখেছেন। মানুষের যেকোনো সমস্যা সমাধানে মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখাগেছে তাদের ।
জাতি-ধর্ম দল-মত নির্বিশেষে প্রত্যেকের পাশে এই দুই সভাপতির উপস্থিতি যা মানুষের চোখে পড়ায় মত। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন তৃনমুল কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কে সামনে রেখে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার মধ্যে দিয়ে বিরোধী-শূন্য পঞ্চায়েত গড়ে মা মাটি মানুষের সরকারকে আরও শক্তিশালি করে দিল্লির মসনাদে বাংলার মানুষ বসাতে চান জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে।
আরও পড়ুন – ৪ দফা দাবী নিয়ে ডেপুটেশন অল ইন্ডিয়া খেতমজদুর সংগঠনের
তাই বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হাতে গোনা মাএ আর কটা দিন বাকি বারাসাত সাংসদ তথা তৃনমুলের সংসদীয় জেলার সভাপতি ডা:কাকলি ঘোষ দোস্তীদারের নির্দেশে অঞ্চল সভাপতি নিজামুল কবিরের উদ্দোগে বুথ কর্মীদের তৎপরতায় কদম্বগাছির ৩০টি বুথে বাড়ী বাড়ী সার্ভে, দেয়াল সাইড ফর, তৃনমুল দলের ফ্লাক বাঁধা থেকে শুরু করে বাকারি চাঁচা সবটাই শুরু হয়ে গেছে এই অঞ্চলে ।
যে কনো অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করবার জন্য সদা সর্বদায় প্রস্তুত কর্মীরা বলে জানালেন সভাপতি জুটি কবির – মাফুজার। প্রতিদিন এক একটা গ্রামের দলীয় কর্মীদের নিয়ে আলোচনা সভা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কিভাবে সকলকে একসাথে অংশগ্রহণ করতে হবে তার একটা মহড়া কদমগাছি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় হচ্ছে। এতে করে কর্মীরা বেশ উৎসাহী।